গোপাল চট্টোপাধ্যায়, বীরভূম: বীরভূমের ময়ূরেশ্বরে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় ৬ গ্রাহকের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ। অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ দেখালেন গ্রাহকরা। দলীয় নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চলেছে তৃণমূল।
আয়ুষ্মান ভারত ও কৃষক সম্মান নিধি। কেন্দ্রের দুই প্রকল্প রাজ্যে চালু না হওয়ায় তৃণমূলকে নাগাড়ে আক্রমণ করে চলেছে বিজেপি। এবার কেন্দ্রীয় প্রকল্প প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার টাকা হাতানোর অভিযোগ উঠল বীরভূমের ময়ূরেশ্বরের এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় ঘর তৈরির জন্য গ্রাহকপিছু দেওয়া হয় প্রায় ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা
এর ৬০ শতাংশ অর্থ দেয় কেন্দ্র, বাকি ৪০ শতাংশ দেয় রাজ্য সরকার ৷ অভিযোগ ৬ গ্রাহকের টাকা তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নয়, ময়ূরেশ্বরের বড়তুরি পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য নবকুমার লেটের অ্যাকাউন্টে পড়ে। অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে সোমবার ময়ূরেশ্বর বিডিও অফিসে বিক্ষোভ দেখান গ্রাহকরা। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার গ্রাহক জলি সেন জানান, ‘‘আবাস যোজনার একটা টাকাও পাইনি, মেম্বার কী করেছে জানি না, যে আমাদের পয়সা যারা চুরি করেছে তাদের শাস্তি চাই ৷’’
বিক্ষোভকারীদের পাশে দাঁড়িয়ে তৃণমূল-প্রশাসনের বিরুদ্ধে যোগসাজশের অভিযোগে সরব হয়েছে বিজেপি। বীরভূমের বিজেপির জেলা সম্পাদক অতনু চট্টোপাধ্যায়ের মতে, ‘‘টাকা গ্রামের তৃণমূলের মেম্বারের অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে, বিডিও ওদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি, তৃণমূলের সঙ্গে প্রশাসনও গ্রামের মানুষকে ঠকাচ্ছে ৷’’ অভিযোগ কার্যত মেনে নিয়ে অভিযুক্ত নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে তৃণমূল। ময়ূরেশ্বরের তৃণমূল প্রার্থী অভিজিৎ রায়ের কথায়, ‘‘অফিস ঠিকমতো চেক না করে মেম্বারের কথায় ভরসা করে টাকা ছেড়ে দিয়েছে, এটা আমাদের অজান্তে হয়েছে, বিডিওকে অভিযোগ জানাই, টাকা রিকভার হয়েছে, এই জিনিস দল সমর্থন করে না, ব্যবস্থা নেবে৷’’
ময়ূরেশ্বরের বিডিও গোরাচাঁদ বর্মন জানান, ‘‘যারা এদের সঙ্গে যুক্ত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব, কারও অ্যাকাউন্টে ভুল করে ঢুকলে দেখতে হবে, প্রকৃত গ্রাহককে টাকা দিতে হবে ৷’’ আবাস যোজনায় টাকা আত্মসাতে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। ভোটের মুখে ময়ূরেশ্বরের এই ঘটনায় অস্বস্তি আরও বেড়েছে তৃণমূলের।