শ্রীনগর: সেনাবাহিনীর সঙ্গে গুলি লড়াইয়ে মারা গেল এক জঙ্গি। জম্মু ও কাশ্মীরের রাজৌরি জেলার বারিয়ামা এলাকার ঘটনা। এলাকাটি আপাতত ঘিরে রেখেছে সেনা। সূত্রে খবর, রবিবার সকাল পর্যন্ত দু'পক্ষের লড়াই জারি রয়েছে।
কী ঘটেছিল?
রাজৌরি জেলার বারিয়ামায় নিরাপত্তা বাহিনী-জঙ্গিদের লড়াই এই নিয়ে দ্বিতীয় দিনে পড়ল। নিরাপত্তার জন্য স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য অন্তত ২ কিলোমিটার দূরত্বে থাকতে বলেছে পুলিশ। শুক্রবার সন্ধ্যায় কাশ্মীরের কুলগাম জেলায় জঙ্গি-হামলাতেই তিন জওয়ানের মৃত্যু হয়েছিল। জখম হন ২ জন। হালানের জঙ্গলে শিবির পাতার সময় ৩৪ রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের টিমের উপর হামলা চালাতে শুরু করেছিল জঙ্গিরা। তাতেই ওই ঘটনা ঘটে। সূত্রের খবর, এর পর থেকে সন্ত্রাসদমন অভিযানে আরও বেশি করে তোড়জোড় শুরু হয়। সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে কর্ডন অ্যান্ড সার্চ অপারেশন শুরু করে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী। সূত্রের খবর, ৪ অগাস্ট, সংবিধানের ৩৭০ ধারা বিলোপের দিনটির আশপাশের সময়টায় উপত্যকায় বেশি করে হিংসাত্মক ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করে সন্ত্রাসবাদীরা। তবে ভারতীয় সেনা যে পাল্টা দিতেও তৈরি, সেটা আরও একবার স্পষ্ট বুঝিয়ে দিল তারা।
সন্ত্রাসদমন জারি...
গত জুনেই ৫ জঙ্গিকে গুলি করে শেষ করেছিল ভারতীয় নিরাপত্তাবাহিনী। জম্মু ও কাশ্মীরের কুপওয়াড়ার ঘটনা। অনুপ্রবেশ রুখতে অভিযান চালাচ্ছিল নিরাপত্তাবাহিনী। সেই সময় জঙ্গিদের খুন করা হয়। ঘটনার দিন রাতে যৌথ অভিযান চালায় ভারতীয় সেনা ও পুলিশ। উত্তর কাশ্মীর জেলার জুমাগুন্ড এলাকায় প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরক্ষা বরাবর বিশেষ খবরের ভিত্তিতে তল্লাশি চালানো হয় ওই রাতে। কাশ্মীরের এ ডি জি পি বিজয় কুমার ট্যুইটারে জানান, এনকাউন্টারে পাঁচ বিদেশি জঙ্গিকে খতম করা হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে একাধিকবার জঙ্গিদের রুখে দিয়েছে নিরাপত্তাবাহিনী (Security Forces)। সেই মতোই জঙ্গি অনুপ্রবেশ রুখতে অভিযান চালানো হয়। এই ঘটনার আগের দিনই, পুঞ্চ সেক্টরে (Poonch Sector) অনুপ্রবেশ রুখে দিয়েছিল ভারতীয় সেনা (Indian Army)। সেখান থেকে বিশাল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র ও বারুদ উদ্ধার করা হয়। আধিকারিকরা জানিয়েছেন, গত ১০ ফেব্রুয়ারি প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর বড়সড় অনুপ্রবেশের (Infiltration) চেষ্টা রুখে দেয় নিরাপত্তাবাহিনী। এটা ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, পাকিস্তান জম্মু ও কাশ্মীর দিয়ে জঙ্গি ঢোকানোর মারাত্মক চেষ্টা করছে।