নয়াদিল্লি: জম্মু কাশ্মীরের পুলওয়ামায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হয়েছে এক জঙ্গি। সংঘর্ষে শহিদ হয়েছেন এক জওয়ান। ওই এলাকায় এক কমান্ডার সহ ৩ থেকে ৪ জন জঙ্গি লুকিয়ে রয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। আজ ভোর থেকেই শুরু হয়েছে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযান।  


সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, সেনা বাহিনী সহ পুলওয়ামা পুলিশ, সিআরপিএফ জওয়ানরা একসঙ্গে পুলওয়ামার হাঞ্জিন রাজপোড়ায় অভিযান চালায়।  সূ্ত্রের খবর, গোপন সূ্ত্রে খবর পেয়ে তল্লাশি চালায় নিরাপত্তা বাহিনী। নিরাপত্তা বাহিনীকে দেখতে পেয়ে হঠাৎই গুলি চালাতে শুরু করে জঙ্গিরা। পাল্টা গুলি চালায় বাহিনীও। তাতেই শহিদ হন এক জওয়ান। তৎক্ষণাত তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।


জম্মুতে বায়ুসেনা স্টেশনে বিস্ফোরণের পর থেকেই উত্তপ্ত উপত্যকা। মঙ্গলবার সকালে কাশ্মীরের আইজিপি বিজয় কুমার লস্কর ই তৈবার কমান্ড্যার নাদিম আব্রার ও পাকিস্তানের আরও এক জঙ্গিকে খতম করেছে ভারতীয় নিরাপত্তাবাহিনী। শ্রীনগরের মাল্লুরা পারিম্পোরার ঘটনা। সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে আইজিপি জানিয়েছিলেন, শ্রীনগর এনকাউন্টারে দুই জঙ্গিকেই খতম করা হয়েছে। হাইওয়েতে জঙ্গিরা হামলা চালাতে চলেছে বলে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের কাছে সুনির্দিষ্ট তথ্য ছিল। এর ভিত্তিতে যৌথ অভিযান চালায় জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ এবং সিআরপিএফ। পারিম্পোরায় নাকা তল্লাশির সময় একটি গাড়িকে থামানো হয়। গাড়ির আরোহীদের পরিচয় জানতে চাওয়া হয়। পিছনে বসে থাকা এক ব্যক্তি ব্যাগ খুলে গ্রেনেড বের করার চেষ্টা করছিল। সঙ্গে সঙ্গে তাকে ধরে ফেলে যৌথবাহিনী। গাড়ির চালক এবং ওই ব্যক্তিকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। তাদের মাস্ক খুলতে বলা হয়। দেখা যায়, তাদের মধ্যে একজন লস্কর ই তৈবার শীর্ষ কমান্ড্যার আব্রার ।


এদিকে ফের জম্মুর আকাশে ড্রোনের দেখা মিলল।  পুলিশ সূত্রে খবর, জম্মুর আন্তর্জাতিক সীমান্ত এলাকায় আরনিয়া সেক্টরে সীমান্তরক্ষী বাহিনী পাকিস্তানের দিক থেকে একটি ড্রোন উড়ে আসচতে দেখেন। ড্রোন লক্ষ্য করে বিএসএফ জওয়ানরা গুলি চালান। এরপর ড্রোনটি ফিরে যায়।  পুলিশ সূত্রে খবর, সম্ভবত নজরদারি চালানোর জন্য পাঠানো হয়েছিল ড্রোনটিকে।