টরন্টো: করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে অথচ কানাডাবাসীর ভ্রূক্ষেপ নেই। বাড়ি থাকার নির্দেশ উপেক্ষা করে তাঁরা যথেচ্ছ ঘোরাঘুরি করছেন। তাই ক্ষুব্ধ প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো জানিয়ে দিয়েছেন, নির্দেশ না মানলে নিষেধাজ্ঞা বসানো হবে।

ট্রুডোর ঘোষণার পরেই অন্টারিও প্রশাসন দেশের এই সব থেকে জনবহুল প্রদেশে ২ সপ্তাহের জন্য লকডাউন জারি করেছেন। আজ থেকেই চালু হচ্ছে এই লকডাউন। কানাডায় এখনও পর্যন্ত ২,০০০-এর বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, মৃতের সংখ্যা ২০ থেকে বড়ে হয়েছে ২৪। কিন্তু প্রশাসন বারবার দেশবাসীকে রাস্তায় না বার হওয়ার নির্দেশ দিলেও সাধারণ মানুষ তা মানছেন না বলে অভিযোগ। তাই বেজায় চটেছেন ট্রুডো। বলেছেন, যথেষ্ট হয়েছে, এবার বাড়ি যান, সেখানেই থাকুন। থাকতেই হবে। হয় মানুষকে বিপদ সম্পর্কে শিক্ষা দেব নয়তো আইন করে মানতে বাধ্য করব। হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।

অন্টারিও প্রশাসনও বলেছে, যেভাবে লোকে শীতের ছুটিতে বিদেশ ঘুরে দুলকি চালে দেশে ফিরছেন, অথচ ১৪ দিনের জন্য কোয়ারান্টাইনে যাচ্ছেন না, তা গ্রহণযোগ্য নয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে এখন থেকে শুধু খাবার, ওষুধপত্র ও অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দোকানই শুধু খোলা থাকবে বলে জানানো হয়েছে। অন্যান্য প্রদেশগুলিও বলেছে, মানুষ সেলফ কোয়ারান্টাইনে যাওয়ার পরামর্শ মানছেন না, ভিড়ভাট্টা না করার পরামর্শও উপেক্ষা করছেন। এবার এঁদের ওপর জরিমানা চাপানো হবে অথবা গ্রেফতার করা হবে। এরই মধ্যে ওটাওয়ার আইন প্রণেতারা আজ ৮২ বিলিয়ন কানাডিয়ান ডলারের করছাড় ঘোষণা করতে চলেছেন। করোনা ঠেকাতে সব কটি প্রদেশই কোনও না কোনওভাবে জরুরি অবস্থা জারি করেছে।

যথেষ্ট সংখ্যক কর্মী না থাকায় এই লকডাউনের মধ্যে সর্বত্র খাবার পৌঁছতে সমস্যা হবে বলে আশঙ্কা করছে কানাডীয় প্রশাসন। অবসরপ্রাপ্ত মিট ইনস্পেক্টরদের কাজে যোগ দেওয়ার অনুরোধ করেছে তারা।