লন্ডন : ১০ কোটি ভ্যাকসিন দানের পরিকল্পনা নিল ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন। জি-২০ গ্লোবাল হেলথ সামিটে এই ঘোষণা করেছেন ইউরোপিয়ান কমিশন প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভ্যানডার লিন। চলতি বছর শেষের আগেই এই উদ্যোগ বাস্তবায়িত করতে চাইছে EU।


ভ্যাকসিনের অভাবে ধাক্কা খেয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)-র কোভ্যাক্স প্রোগ্রাম। মূলত, অভাবীদের ভ্যাকসিন দিতেই এই উদ্যোগ নিয়েছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এবার 'হু'-এর সেই উদ্যোগে পাশে দাঁড়াল ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন। আফ্রিকায় ভ্যাকসিন প্ল্যান্ট গড়ে টিকার অভাব দূর করতে চাইছে EU। সেকারণে ১ বিলিয়ন ইউরো বরাদ্দ করেছে সংস্থা। এমনই জানিয়েছেন ইউরোপিয়ান কমিশন প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভ্যানডার লিন।


শুক্রবার জি-২০ সামিটের উদ্বোধনী ভাষণে ইতালির প্রধানমন্ত্রী মারিও দ্রাঘি বলেছেন, ''করোনা মহামারী রুখতে আন্তর্জাতিক সাহায্যের গুরুত্ব কতটা তা এখন আমরা সবাই বুঝতে পেরেছি।'' অনলাইন মিটিংয়ে মূলত 'রোম সিদ্ধান্ত' নিয়ে নিজেদের মতামত প্রকাশ করে অন্যরা। যেখানে ১৬টি সিদ্ধান্ত নেয় জি-২০ ভুক্ত দেশগুলি। যার মধ্যে ভ্যাকসিন সরবরাহ নিয়ে মূল সিদ্ধান্ত হয়। 


তবে এই প্ল্যাটফর্ম থেকেই আগামী দিনে মহামারী রোখার শপথ নেয় দেশগুলি। এ প্রসঙ্গে ইউরোপিয়ান কমিশন প্রেসিডেন্ট বলেন, ''ভবিষ্যতে এই ধরনের মহামারীর খবর পেলে আগেই সতর্কীকরণের ব্যবস্থা নেবে ইইউ। সেক্ষেত্রে নিজেদের মধ্যে মহামারীর তথ্য শেয়ার করব আমরা। গ্লোবাল সাপ্লাই চেইন গড়ে তুলবে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন।''


এই বিষয়ে জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মরকেল বলেন, ''অভিজ্ঞতা বলছে, টিকা পেলেই এই পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ পাবে বিশ্ব। তাই কোভ্যাক্স প্রোগ্রামে ৩০ মিলিয়ান ভ্যাকসিন দানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে জার্মানি। এ ছাড়াও হু-এর সাহায্যে ১০০ মিলিয়ন ইউরো দেবে দেশ।'' বিশ্বের এই মহামারী পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খোলেন ইউএন সেক্রেটারি জেনারেল আন্তনিও গুতেরেস। তিনি বলেন, ''আগামী দিনেও করোনা ভাইরাস আরও ক্ষতি করতে পারে। তাই টেস্ট ও ভ্যাকসিনের জন্য সবাইকে প্রস্তুত থাকতে হবে। এখনও এই ভাইরাস আমাদের সঙ্গে রয়েছে। প্রতিদিন নতুন করে মিউটেট করছে করোনা। আমার আশঙ্কা, শীত এলে এই ভাইরাস আরও মানুষের ক্ষতি করবে।''