বিজেন্দ্র সিংহ, নয়াদিল্লি : কোচবিহারে মর্মান্তিকভাবে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত পুণ্যার্থীদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য করছে কেন্দ্র। প্রধানমন্ত্রীর অফিসের (PMO Office) পক্ষ থেকে ট্যুইট করে জানানো হয়েছে, প্রাইম মিনিস্টান ন্যাশনাল রিলিফ ফান্ড (PMNRF) থেকে মৃত পুণ্যার্থীদের নিকট আত্মীয়দের ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। ঘটনায় আহতদের পরিবারপিছু দেওয়া হবে ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হবে বলেই জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Prime Minister Narendra Modi)।
বৃষ্টির মধ্যে পিক আপ ভ্যানে জেনারেটর চালিয়ে সাউন্ড বক্স বাজাতে গিয়ে কোচবিহারে ঘটে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। শীতলকুচি থেকে ময়নাগুড়িতে জল্পেশের মন্দিরে যাওয়ার পথে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় ১০ জন পুণ্যার্থীর। যে ঘটনা নিয়ে দুঃখপ্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, 'পশ্চিমবঙ্গের শীতলকুচিতে ভ্যানে যাওয়ার পথে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই। আশা রাখি আহতদের দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন।' পিএমও-র পক্ষ থেকে যে ট্যুইটের সঙ্গেই জানানো হয়, ঘটনায় মৃতদের পরিবারপিছু ২ লক্ষ ও আহতদের পরিবারপিছু ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়ার ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রসঙ্গত, রবিবার রাত ১২ টা নাগাদ শীতলকুচি থেকে ৩৬ জন পুণ্যার্থীর একটি দল পিক আপ ভ্যানে চড়ে ময়নাগুড়িতে জল্পেশের মন্দিরে শিবের মাথায় জল ঢালতে যাচ্ছিল। প্রবল বৃষ্টির মধ্যে, জেনারেটর চালিয়ে, গাড়িতে সাউন্ডবক্স বাজানো হচ্ছিল। চ্যাংড়াবান্ধায় ধরলা সেতু থেকে নামার পরেই গাড়ির মধ্যে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন পুণ্যার্থীরা। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, বৃষ্টির মধ্যে জেনারেটরে শর্ট সার্কিটের জেরেই এই দুর্ঘটনা ঘটে। মর্মান্তিক এই ঘটনায় এলাকায় নামে শোকের ছায়া।
ঘটনা ঘিরে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে শুরু হয় চাপানউতোর। মাথাভাঙার বিজেপি বিধায়ক সুশীল বর্মন বলেন, এগুলো কী করে পুলিশ পারমিশন দেয়? নজর দেওয়া উচিত। যে প্রসঙ্গে 'গাফিলতি হয়েছে' জানান তৃণমূল কংগ্রেসের কোচবিহারের চেয়ারম্যান গিরিন্দ্রনাথ বর্মন। জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্ত জানান, ডিজে আগামী ২ সপ্তাহ ব্যবহার করা যাবে না। সমস্ত থানায় নির্দেশ পাঠানো হয়েছে।