কংগ্রেস নেত্রীর দফতর থেকে সিআরপিএফ ভিআইপি সিকিউরিটি ইনচার্জকে করা একটি লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, হজরতগঞ্জের সার্কল অফিসার অভয় মিশ্রর নেতৃত্বে প্রায় ১২ জন পুলিশের দল সকালে লখনউতে প্রিয়ঙ্কার যেখানে ছিলেন, সেখানে উপস্থিত হয়। অভিযোগ, তাঁরা প্রিয়ঙ্কার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সিআরপিএফদের কাছ থেকে তাঁর সারাদিনের কর্মসূচি সম্পর্কে জানতে চান। এই তথ্য আগেই উত্তরপ্রদেশ পুলিশকে জানানো হয়েছিল বলে প্রিয়ঙ্কার দফতরের দাবি। তাই নিয়েই নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে শুরু হয় বাগবিতণ্ডা।
ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, ওইদিন প্রিয়ঙ্কার এমন কোনও কর্মসূচি ছিল না, যা উত্তরপ্রদেশ পুলিশকে জানানো হয়নি। প্রিয়ঙ্কার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সিআরপিএফ-এর তরফে প্রতিদিন ইউপি পুলিশকে সব তথ্য দেওয়া হয়। তাই এভাবে তাঁর ব্যক্তিগত থাকার জায়গায় এসে নিরাপত্তারক্ষীদের হুমকি দেওয়া একেবারেই অন্যায় ও বেআইনি বলে দাবি করা হয়েছে ওই অভিযোগ-পত্রে।
শনিবার, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গিয়ে গ্রেফতার হন অবসরপ্রাপ্ত আইপিএস দারাপুরি। তাঁরই পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছিলেন প্রিয়ঙ্কা। তখনই মহিলা পুলিশকর্মীরা প্রিয়ঙ্কাকে ঘিরে ধরে বলে অভিযোগ। তাঁকে ঘাড়ধাক্কা দেওয়ার অভিযোগও ওঠে। এক মহিলা পুলিশ তাঁর গলা টিপে ধরেন বলেও, অভিযোগ করেন প্রিয়ঙ্কা।
এই ঘটনার পর এক সমর্থকের স্কুটারে দারাপুরির বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন তিনি।
অন্যদিকে যে মহিলা পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে এইসব অভিযোগ তিনি তা সর্বৈব মিথ্যা বলে উল্লেখ করে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে একটি চিঠি লিখেছেন। কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদকের অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লেখা চিঠিতে ওই মহিলা পুলিশ অফিসার দাবি করেন, তিনি নিরাপত্তার স্বার্থে প্রিয়ঙ্কা গাঁধীর গন্তব্যস্থল সম্পর্কে জানতে চান। কিন্তু প্রিয়ঙ্কার দলীয় কর্মীরা সেই তথ্য দিতে অস্বীকার করেন।
কংগ্রেসের সর্বভারতীয় নেতৃত্বও এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত দাবি করেছে।
প্রিয়ঙ্কার পাশে দাঁড়িয়ে তাঁর সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনার কড়া নিন্দা করে ট্যুইট করেন তাঁর স্বামী রবার্ট বঢরা। প্রিয়ঙ্কার উদ্দেশে রবিবার টুইট করে তিনি বলেন, “তোমার জন্য গর্বিত। যা করেছ সেটা ঠিক। মানুষের প্রয়োজনে তাঁদের পাশে দাঁড়ানো কোনও অপরাধ নয়।”