গত মাসে বিহার বিধানসভা ভোট হয়। সেই ভোটের ফল প্রকাশের পরই বাংলায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা ঘোষণা করে হায়দরাবাদের আসাদউদ্দিন ওয়েসির দল অল-ইন্ডিয়া-মজলিস-এ-ইত্তেহাদ-
২৯ নভেম্বর লালগোলায়, শুক্রবার লালবাগে এবং রবিবার ডোমকলে কর্মীসভা ও যোগদান কর্মসূচি করে মিম। দলের জেলা কোঅর্ডিনেটর আসাদুল শেখ বলেন, ৭৩ বছরের রাজনীতিতে মুর্শিদাবাদের মানুষ কোনও উন্নয়ন পায়নি। এই জেলার জনসংখ্যা ৮০ লক্ষ হওয়া সত্ত্বেও একটা বিশ্ববিদ্যালয় নেই। ভাল হাসপাতাল নেই। ভাল রাস্তাঘাট নেই। কোনও শিল্প নেই। এটা নিয়ে আগামী দিনে প্রকাশ্যে আন্দোলনে নামব।
তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি তথা সাংসদ আবু তাহের বলেন, বিজেপি মতো মিমও আমাদের কাছে অশুভ সংকেত। যে শক্তি আমাদের বিভিন্ন ভাবে ধর্মান্ধতার নামে দেশভাগের চক্রান্ত করছে। বিজেপির বিরুদ্ধে যেমন লড়ছি মিমের বিরুদ্ধে অলআউট লড়াই করব। এখানে যেমন পদ্ম ফুল ফুটবে না। মিমের কোনও প্রতিনিধি যাতে নির্বাচিত না হয় সেজন্য তৃণমূলের তরফে যা যা করার সেটা করা হবে।
কংগ্রেসের জেলা মুখপাত্র জয়ন্ত দাসের কথায়, মিম প্রচারে আসার জন্য এই ধরনের কর্মসূচি নিয়েছে। গুপি গায়েন বাঘা বাইনের মত বিজেপি এবং মিম একসঙ্গে আসার চেষ্টা করছে। সচেতন মানুষ এই অপচেষ্টাকে রুখবে।
এদিকে মিমের সঙ্গে তৃণমূলের সঙ্গে তাঁদের আঁতাত রয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বিজেপি। মুর্শিদাবাদ দক্ষিণে বিজেপির জেলা সভাপতি গৌরিশঙ্কর ঘোষ বলেন, বিজেপি জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক দল। ফলে মিমকে আমরা কোনওভাবেই প্রশ্রয় দেব না। বিজেপি আর মিম যে আলাদা তা হায়দরাবাদের নির্বাচনেই প্রমাণ হয়ে গিয়েছে। এখানে বেশ কিছু রাজনৈতিক দলের সঙ্গে মিমের সম্পর্ক রয়েছে। তাঁরা গোপন আঁতাত করবে মিমের সঙ্গে। মিম ইতিমধ্যেই তৃণমূলকে প্রস্তাব দিয়েছে।