কলকাতাপাখির চোখ ২০২১-এর নির্বাচনের দিকে। প্রস্তুতি নিচ্ছে সব রাজনৈতিক দল। এবার আসরে নামল মিম।ভোটের প্রস্তুতিতে মুর্শিদাবাদে সংগঠন মজবুত করার কাজ শুরু করল মিম। জেলার একাধিক জায়গায় কর্মীসভা থেকে যোগদান কর্মসূচির কাজ শুরু করেছে ওয়েসির দল। তবে মিমকে গুরুত্ব দিতে নারাজ কংগ্রেস ও তৃণমূল।


গত মাসে বিহার বিধানসভা ভোট হয়। সেই ভোটের ফল প্রকাশের পরই বাংলায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা ঘোষণা করে হায়দরাবাদের আসাদউদ্দিন ওয়েসির দল অল-ইন্ডিয়া-মজলিস-এ-ইত্তেহাদ-আল-মুসলিমিন বা মিম। মিমের সভাপতি আসাদউদ্দিন ওয়েসি বলেনবাংলায় আসছি। মালদামুর্শিদাবাদে লড়ব। আর সেই ঘোষণা মতোই এবার বাংলায় বিধানসভা ভোটের প্রস্তুতিতে শুরু করে দিল তারা।

২৯ নভেম্বর লালগোলায়শুক্রবার লালবাগে এবং রবিবার ডোমকলে কর্মীসভা ও যোগদান কর্মসূচি করে মিম। দলের জেলা কোঅর্ডিনেটর আসাদুল শেখ বলেন৭৩ বছরের রাজনীতিতে মুর্শিদাবাদের মানুষ কোনও উন্নয়ন পায়নি। এই জেলার জনসংখ্যা ৮০ লক্ষ হওয়া সত্ত্বেও একটা বিশ্ববিদ্যালয় নেই। ভাল হাসপাতাল নেই। ভাল রাস্তাঘাট নেই। কোনও শিল্প নেই। এটা নিয়ে আগামী দিনে প্রকাশ্যে আন্দোলনে নামব।

তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি তথা সাংসদ আবু তাহের বলেনবিজেপি মতো মিমও আমাদের কাছে অশুভ সংকেত। যে শক্তি আমাদের বিভিন্ন ভাবে ধর্মান্ধতার নামে দেশভাগের চক্রান্ত করছে। বিজেপির বিরুদ্ধে যেমন লড়ছি মিমের বিরুদ্ধে অলআউট লড়াই করব। এখানে যেমন পদ্ম ফুল ফুটবে না। মিমের কোনও প্রতিনিধি যাতে নির্বাচিত না হয় সেজন্য তৃণমূলের তরফে যা যা করার সেটা করা হবে।

কংগ্রেসের জেলা মুখপাত্র জয়ন্ত দাসের কথায়মিম প্রচারে আসার জন্য এই ধরনের কর্মসূচি নিয়েছে। গুপি গায়েন বাঘা বাইনের মত বিজেপি এবং মিম একসঙ্গে আসার চেষ্টা করছে। সচেতন মানুষ এই অপচেষ্টাকে রুখবে।

এদিকে মিমের সঙ্গে তৃণমূলের সঙ্গে তাঁদের আঁতাত রয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বিজেপি। মুর্শিদাবাদ দক্ষিণে বিজেপির জেলা সভাপতি গৌরিশঙ্কর ঘোষ বলেনবিজেপি জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক দল। ফলে মিমকে আমরা কোনওভাবেই প্রশ্রয় দেব না। বিজেপি আর মিম যে আলাদা তা হায়দরাবাদের নির্বাচনেই প্রমাণ হয়ে গিয়েছে। এখানে বেশ কিছু রাজনৈতিক দলের সঙ্গে মিমের সম্পর্ক রয়েছে। তাঁরা গোপন আঁতাত করবে মিমের সঙ্গে। মিম ইতিমধ্যেই তৃণমূলকে প্রস্তাব দিয়েছে।