নয়াদিল্লি: প্রজাতন্ত্র দিবসে কৃষকদের ট্রাক্টর র‍্যালি নিয়ে ভুল খবর প্রচার এবং বৈষম্য ছড়ানোর অভিযোগে কংগ্রেস সাংসদ শশী তারুর সহ ৬ সাংবাদিককে কাঠগড়ায় তোলা হল। উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ভারতীয় দন্ডবিধির রাষ্ট্রদ্রোহিতা, ফৌজদারি ষড়যন্ত্র এবং হিংসা ছড়ানোর বিভিন্ন ধারায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে।


নয়ডা সহ মধ্যপ্রদেশের ভোপাল, হোসংবাদ, মুল্টাই, বেটুলে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে। শশী তারুর এবং ৬ সাংবাদিকের  ডিজিটাল ব্রডকাস্ট এবং সোশাল মিডিয়া পোস্টের বিরুদ্ধে দিল্লির এক বাসিন্দা অভিযোগ দায়ের করেন।  তাঁর অভিযোগ সংশ্লিষ্টরা বলেছেন কৃষকের মৃত্যু হয়েছে দিল্লি পুলিশের গুলিতে। যা একেবারে মিথ্যে।


এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে এডিটর গিল্ড অব ইন্ডিয়া। বিবৃতি জারি করে তারা জানিয়েছে, ইচ্ছাকৃতভাবে সাংবাদিকদের টার্গেট করা হয়েছে। কারণ ওঁরা আন্দোলনকারী এক কৃষকের মৃত্যু নিয়ে খবর করেছে। সেই খবর নিজেদের ব্যক্তিগত সোশাল মিডিয়া হ্যান্ডলেও প্রকাশ করেছেন। এটা মনে রাখতে হবে, তাঁরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা নিজেদের চোখে যা দেখেছেন, পুলিশের থেকে যা জেনেছেন তাই লিখেছেন। এটা সাংবাদিকতার ধরন।


এই ঘটনার নিন্দা করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তিনি লিখেছেন, বর্ষীয়ান সাংবাদিক রাজদীপ সরদেশাইয়ের সঙ্গে যা হয়েছে তাতে আমি অবাক। এটা আরও বেশি অবাক করে যে বেশিরভাগ সংবাদমাধ্যম এই বিষয়ে চুপ করে আছে। আমাদের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় অবশ্যই সোচ্চার হওয়া উচিত। সংবাদমাধ্যম গণতন্ত্রের স্তম্ভ।



মোদি সরকারের তিনটি কৃষি প্রত্যাহারের দাবিতে, প্রজাতন্ত্র দিবসে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় দিল্লি। রাজধানীর রাস্তা দিয়ে ঝড়ের বেগে ছুটল একের পর এক ট্র্যাক্টর। মিছিলের চাপে ভেঙে পড়ল পুলিশের ব্যারিকেড। কোথাও পুলিশকে লক্ষ্য করে ছোড়া হয় পাথর। কোথাও লাঠিবৃষ্টি করে পুলিশ। কৃষকদের ট্র্যাক্টর র‍্যালি শুরু হওয়ার কথা ছিল মঙ্গলবার সকাল দশটা থেকে। সকাল আটটা নাগাদই সিংঘু, টিকরি, গাজিপুরের দিক থেকে কৃষকরা ট্র্যাক্টর নিয়ে দিল্লির দিকে এগোতে শুরু করে। শুধু ট্র্যাক্টরই নয়, আন্দোলনকারীদের অনেকে ছিলেন ঘোড়ার পিঠে। কৃষকদের দখলে চলে যায় লালকেল্লা। স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লার যে জায়গায় প্রধানমন্ত্রী জাতীয় পতাকা তোলেন, প্রজাতন্ত্র দিবসের সকালে সেই খুঁটিতে চড়ে কৃষক সংগঠনের ঝান্ডা লাগিয়ে দেন। লালকেল্লা কাণ্ডে দিল্লি পুলিশের কাছে অভিনেতা দীপ সিধুর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়।