নয়াদিল্লি: লালকেল্লা কাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ৮৪ জনকে গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশ। কৃষক আন্দোলন সহ ৩ কৃষি আইনের ভবিষ্যত কী? তার উত্তর এখনও পাওয়া যায়নি। এই আবহে কৃষক নেতা রাকেশ টিকাইত জানিয়েছেন, কেন্দ্রের সঙ্গে কথা বলতে প্রস্তুত সরকার। কিন্তু তার আগে যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তাঁদের মুক্তি দিতে হবে দাবি কৃষক নেতার।


ট্রাক্টর র‍্যালি পর্বে অশান্তির ঘটনা স্বীকার করে নিয়েছেন টিকাইত। একইসঙ্গে নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, নরেন্দ্র মোদি আমাদেরও প্রধানমন্ত্রী। আমরাও তাঁকে ভোট দিয়েছি। আমরা কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে কথা বলতে প্রস্তুত। কিন্তু তার আগে আমাদের একটা শর্ত আছে। যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের মুক্তি দিতে হবে। তাঁর কথায়, প্রজাতন্ত্র দিবসে যা হয়েছে তা একেবারেই ভুল। লালকেল্লার ঘটনা খতিয়ে দেখা উচিত প্রশাসনের।

ওই ঘটনায় দিল্লি পুলিশ ৩৮টি এফআইআর দায়ের করেছে। ১৩ জন কৃষক নেতা সহ আন্দোলনকারীকে নোটিস দিয়েছে তারা। এই তালিকায় টিকায়ত ছাড়াও আছেন মেধা পাটকর, স্বরাজ ভারতের প্রধান যোগেন্দ্র যাদব। ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় কৃষক নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। খুনের চেষ্টা, হিংসায় উস্কানি, সরকারি  আধিকারিকের কাজে বাধা দেওয়া, র‍্যালির নিয়ম ভাঙার মতো একাধিক অভিযোগ রয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে।

হাজার হাজার কৃষক প্রজাতন্ত্র দিবসের র‍্যালিতে পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে বলে অভিযোগ। অভিযোগ র‍্যালির রুট পরিবর্তন করে কৃষকরা। অভিযোগ অনুমতি ছাড়াই লালকেল্লার ভেতর ঢুকে পড়ে তাঁরা। উল্লেখ্য, সেপ্টেম্বর মাসে সংসদে পাশ হয় ৩ কৃষি আইন। ইতিমধ্যে কেন্দ্রের সঙ্গে ১১ দফায় বৈঠক হয়েছে কৃষকদের। তাতে মেলেনি কোনও সমাধান সূত্র। নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকে বসতে চেয়েছেন কৃষক নেতারা।