শিলচর: দিল্লি হিংসা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সম্পর্কে ফেসবুকে পোস্ট করেছিলেন। এ কারণে গ্রেফতার করা হল অসমের শিলচরের কলেজ অধ্যাপক সৌরদীপ সেনগুপ্তকে। তাঁর বিরুদ্ধে ধর্মীয় ভেদাভেদ, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের চেষ্টা সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ।


শিলচরের গুরুচরণ শীল কলেজের অতিথি অধ্যাপক সৌরদীপ সেনগুপ্ত ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের সহকারী সম্পাদক ছিলেন। দিনকয়েক আগে দিল্লি হিংসার প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে তিনি একটি ফেসবুক পোস্ট করেন। লেখেন, এক গণহত্যাকারীকে আমরা দু'বার নির্বাচন করেছি। অভিযোগ, এরপর কলেজে গেলে তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখানো হয়। ক্ষমাপ্রার্থনা করে ফেসবুকে ফের পোস্ট করেন ওই কলেজ শিক্ষক। এরপর বাড়িতে চড়াও হয়ে ফেসবুক লাইভে তাঁকে ক্ষমা চাওয়ানোর দাবি করে পরিবারের সদস্যদের চাপ দেওয়া হয়। সেই সময় বাড়িতে ছিলেন না ওই কলেজ শিক্ষক, ছিলেন তাঁর মা। এরপর বাড়ি ফিরতেই তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে ধর্মীয় ভেদাভেদ, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের চেষ্টা সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।

ফেসবুক পোস্টের প্রেক্ষিতে অধ্যাপকের এই গ্রেফতার হওয়া সমর্থন করেছে বিজেপি। দিলীপ ঘোষ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে এমন মন্তব্য করা যায় না। দেশের মানুষ ভোটে জিতিয়েছেন, সেই প্রধানমন্ত্রীকে কী করে গণহত্যাকারী বলেন? এর জন্য উদাহরণযোগ্য শাস্তি হওয়া উচিত।