নয়াদিল্লি: চাঁদের মাটি ছুঁয়ে ইতিহাস রচনা করেছে ভারত। তার মধ্যেই পরবর্তী মহাকাশ অভিযানের প্রস্তুতি চলছে জোর কদমে (ISRO)। সেই আবহেই নয়া ঘোষণা করল কেন্দ্রীয় সরকার। 'গগনযান' অভিযানে মহাকাশে মহিলা রোবট বা যন্ত্রমানবীকে পাঠানো হবে বলে জানালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিংহ। এ বছরই অক্টোবর মাসের মাঝামাঝি সময়েই তার ট্রায়াল বলে জানালেন তিনি। (Gaganyaan Mission)
শনিবার একটি বেসরকারি চ্যানেল আয়োজিত বিশেষ আলোচনাসভায় অংশ নিয়ে এই ঘোষণা করেন জিতেন্দ্র। তিনি জানান, অক্টোবরের প্রথম অথবা দ্বিতীয় সপ্তাহে ('গগনযানে'র)ট্রায়াল রয়েছে। তার পর যন্ত্রমানবী 'ব্যোমমিত্রা'কে মহাকাশে পাঠানো হবে। কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি মন্ত্রকের দায়িত্ব হাতে রয়েছে জিতেন্দ্রর। চন্দ্রযান-৩ অভিযানে সাফল্য মেলার পর এই ঘোষণা করলেন তিনি।
এদিন জিতেন্দ্র জানান, অতিমারির জেরে 'গগনযান' অভিযানে পিছিয়ে গিয়েছে। এখন অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে প্রথম দফার ট্রায়াল সেরে নেওয়ার লক্ষ্য রয়েছে। মহাকাশে নভোচারীদের পাঠানোর চেয়ে, তাঁদের নিরাপদে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনা ঢের বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তাই মেপে মেপে পা ফেলা হচ্ছে। জিতেন্দ্র বলেন, "ট্রায়ালের পর দ্বিতীয় পর্যায়ে মহাকাশে যে যন্ত্রমানবী পাঠানো হবে, মানুষের মতোই সব কাজ করতে পারবে সে। তাতে সব ঠিক থাকলে, মানুষ পাঠানোর কাজ শুরু করতে পারব আমরা।"
মহাকাশে মানুষ পাঠানোর যে অভিযান, সেটিকেই 'গগনযান' বলে অভিহিত করা হচ্ছে। মহাকাশযানে চাপিয়ে তিন জন নভোচারীকে, তিন দিনের অভিযানের পরিকল্পনা রয়েছে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ISRO-র। নিরাপদে সমুদ্রে অবতরণ ঘটিয়ে, তাঁদের ফিরিয়ে আনাও লক্ষ্য। সব ঠিক থাকলে ২০২৫ সালে মহাকাশে মানুষ পাঠাবে ISRO.
চন্দ্রযান-৩ অভিযান ঘিরে উচ্ছ্বাসের মধ্যেই সম্প্রতি সেই নিয়ে মুখ খোলেন ISRO প্রধান এস সোমনাথ। তিনি জানান, সূর্যের উদ্দেশে 'আদিত্য' অভিয়ানের প্রস্তুতি চলছে। সেপ্টেম্বরেই তার উদ্বোধন হবে। 'গগনযান' এখনও মাঝামাঝি পর্যায়ে। সেপ্টেম্বর-অক্টোবর নাগাদ মহাকাশযানটিকে পরীক্ষা করে দেখা হবে। তার পরও দফায় দফায় পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলবে। যত ক্ষণ পর্যন্ত না মানুষ পাঠানোর জন্য ১০০ শতাংশ নিরাপদ বলে মনে হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত চলবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা। সব ঠিক থাকলে ২০২৫ সালে মহাকাশে মানুষ পাঠাতে পারবে ISRO.