কলকাতা: ফের রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত। এবার রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে ‘দাদু’ বলে সম্বোধন ফিরহাদ হাকিমের।


কী বলেছেন ফিরহাদ?
একটি অনুষ্ঠানে রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ বলেন, 'আপনাদের আছে, কর্পোরেশন আছে। যা কাজ হয়েছে তাতে এমনিই জিতে যাবেন।' এরপর তিনি বলেন, 'ওই দাদুটা রয়েছে, ওই আটকে রেখেছে। রাজভবনে, আমিও দু-তিনবার গিয়েছি, এখন বলছে তুমিও এসো। যাব দেখি, নেত্রীকে জিজ্ঞাসা করে যাব। গেলে হয়তো ওটা ছেড়ে দেবে, কয়েকদিনের মধ্যে হয়ে যাবে। আটকে রেখেছে দাদু, আমরা না।' হাওড়া পুরএলাকায় তৃণমূল কর্মীদের নিয়ে হওয়া একটি সম্মেলনে এমন বক্তব্য রাখেন রাজ্যের মন্ত্রী এমন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। 


বিজেপির কটাক্ষ:
বিষয়টি নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করা হয়েছে রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপির তরফে। রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, 'শব্দচয়ন ও শরীরী ভাষা একান্তই বক্তার ব্যক্তিগত। ফিরহাদ হাকিম অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে তাঁর পার্টির রুচির কথা বলছেন। সাংবিধানিক প্রধানের প্রতি তাঁদের কতটা শ্রদ্ধা সেটা মানুষকে জানিয়েছেন।'


হাওড়া বিল নিয়ে টানাপড়েন:
হাওড়া পুরসভার (Howrah Municipality) বিল নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে টানাপড়েন চলেছে রাজ্য ও রাজ্যপালের মধ্য়ে। একাধিকবার একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। একাধিক টুইটও করেছেন রাজ্যপাল। তাঁর অভিযোগ ছিল পুরবিল নিয়ে পর্যাপ্ত তথ্য পাঠানো হয়নি রাজ্যের তরফে। ট্যুইটারে রাজ্যপাল দাবি করেছেন, প্রায় এক মাস বিলম্বের পর হাওড়া পুরবিল নিয়ে তথ্য পাঠিয়েছে রাজ্য সরকার। জগদীপ ধনকড়ের দাবি, বিল নিয়ে রাজ্যের পাঠানো তথ্যের বাস্তব ভিত্তি নেই। তৃণমূল ক্ষমতায় এসে ২০১৫ সালের জুলাই মাসে বালিকে (Bally) হাওড়া পুরসভার অন্তর্ভুক্ত করে।  তাতে বালি পুরসভার ৩৫টি ওয়ার্ডের পুনর্বিন্যাস ঘটিয়ে ১৬-য় নামিয়ে আনা হয়। সেই নিয়ে বালির বাসিন্দাদের একাংশের মধ্যে ক্ষোভ ছিলই। তার মধ্যেই সম্প্রতি হাওড়া পুরসভা থেকে বালিকে আলাদা করার সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য। কিন্তু তা নিয়ে রাজ্য এবং রাজ্যপালের অবস্থান ঘিরে টানাপড়েন শুরু হয়েছে। তা এখনও চলছে। হাওড়া পুরবিলে রাজ্যপাল আদৌও সই করেছেন কিনা তা নিয়েও দীর্ঘদিন টানাপড়েন চলে। 


আরও পড়ুন: প্রথম প্রাপক, লতা দীননাথ মঙ্গেশকর পুরস্কারে সম্মানিত প্রধানমন্ত্রী