বেহালা : ভরদুপুরে বেহালার মুচিপাড়ায় চলল গুলি। ঘটনার জেরে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে পৌঁছায় পুলিশ। কী কারণে গুলি চলল তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। অভিযোগ, বেহালায় ১২১ নম্বর ওয়ার্ডে পুরভোটে কে তৃণমূলের টিকিট পাবেন তা নিয়ে গন্ডগোলের সূত্রপাত। আজ আচমকা কয়েকজন বাইক নিয়ে এসে গুলি চালিয়ে পালিয়ে যায়।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে পৌঁছায় পুলিশ। এলাকায় উত্তেজনা্ ছড়িয়ে পড়ে। তৃণমূলের এক পক্ষের অভিযোগ, অপর পক্ষের কয়েকজন তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে।
যদিও হতাহতের কোনও খবর নেই। তবে, ঘটনার জেরে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে। ঘটনা নিয়ে স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
গত বুধবারই ভরদুপুরে গুলিবৃষ্টিতে কেঁপে ওঠে নিউটাউনের সাপুরজির সুখবৃষ্টি আবাসন। কয়েক মিনিটেই যুদ্ধক্ষেত্রে বদলে যায় শান্ত আবাসন চত্বর। শিরোনামে উঠে আসে আবাসনের একটা ঘর। B-153 নম্বর টাওয়ারের, ফ্ল্যাট নম্বর 201। এনকাউন্টারের পর এই ফ্ল্যাটের ভিতর থেকেই মেলে, পঞ্জাবের গ্যাংস্টার জয়পাল ভুল্লার ও তাঁর সঙ্গী যশপ্রীত সিং খাড়ারের গুলিতে ঝাঁঝরা হওয়া দেহ।
পুলিশ সূত্রে খবর, ২৩ মে থেকে এই আবাসনে আত্মগোপন করেছিল দুই গ্যাংস্টার। কিন্তু, পুলিশ খুন সহ যে জয়পাল ভুল্লারকে ৪০টিরও বেশি মামলায় হন্যে হয়ে খুঁজছিল পাঞ্জাব পুলিশ, সে বাংলায় এসে ফ্ল্যাটভাড়া পেয়েছিল কী করে? সূত্রের খবর, ওই দিন সুখবৃষ্টি আবাসনের ২০১ নম্বর ফ্ল্যাটের বেডরুম থেকেই চলেছিল গুলির লড়াই। দু’ তরফেই গুলি চলার প্রমাণ মিলেছে।
শহরতলির সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের শহরে চলল গুলি। এর জেরে শহরে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রশ্নের মুখে পড়েছে। যদিও বেহালার ঘটনায় পুলিশ দ্রুত ময়দানে নেমে পড়ে। হাতের বাইরে যাওয়ার আগেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। এদিকে প্রত্যক্ষদর্শীর দাবি, পুলিশের সামনেই দুপুর ২টো নাগাদ গুলি চলেছে। স্থানীয়দের বক্তব্য, দিনেদুপুরে এভাবে গুলি চলায় তাঁরা আতঙ্কিত। পুলিশ ঘটনা খতিয়ে দেখছে।