নয়া দিল্লি: মহাকাশে নজির গড়ার পথে আরও একধাপ, ভারতীয় অন্তরীক্ষ স্টেশনের মডেল প্রকাশ ইসরো-র। শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া দুই দিনের জাতীয় মহাকাশ দিবস উদযাপনের সময় ইসরো ভারতীয় অন্তরীক্ষ স্টেশন (ভারতের নিজস্ব স্পেস স্টেশনের) মডিউলের একটি মডেলের ছবি প্রকাশ করল।
এই ভারতীয় অন্তরীক্ষ স্টেশন বা BAS-এ থাকবে মোট পাঁচটি মডিউল। মহাকাশে নিজেদের স্পেস স্টেশন তৈরি করে সারা বিশ্বে চতুর্থ স্থানের অধিকারী হতে চলেছে ভারত। রাশিয়া, আমেরিকা এবং চিনের পর নজির গড়তে চলেছে ভারত। ভারতের মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে ভারতীয় অন্তরীক্ষ স্টেশন স্থাপন এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হতে চলেছে।
ভারতীয় অন্তরীক্ষ স্টেশনে প্রোপালশন এবং ECLSS তরল, বিকিরণ, তাপীয় এবং মাইক্রো মেটিওরয়েড অরবিটাল ডেব্রিস (MMOD) সুরক্ষা, স্পেস স্যুট, অতিরিক্ত যানবাহন কার্যকলাপ সমর্থন করার জন্য এয়ারলক এবং ইন্টিগ্রেটেড এভিওনিক্স প্লাগ অ্যান্ড প্লে করার ব্যবস্থাও থাকবে। ২০২৮ সালের মধ্যেই BAS-01 অর্থাৎ, ভারতীয় অন্তরীক্ষ স্টেশনের প্রথম মডিউলটি মহাকাশে উৎক্ষেপণ করা হবে। ২০৩৫ সালের মধ্যে স্টেশনটিকে পাঁচটি মডিউলে সম্প্রসারিত করার পরিকল্পনা করেছে ISRO।
সূত্রের খবর, ভারতীয় অন্তরীক্ষ স্টেশন -০১ মডিউলটির ওজন ১০ টন হবে। পৃথিবী থেকে ৪০০ কিলোমিটার উচ্চতায় যে কক্ষপথ রয়েছে সেখানে স্থান পাবে ভারতের স্পেস স্টেশন। এর প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলির মধ্যে রয়েছে, দেশীয়ভাবে তৈরি পরিবেশগত নিয়ন্ত্রণ ও জীবন সহায়তা ব্যবস্থা (ECLSS), ভারত ডকিং সিস্টেম, ভারত বার্থিং মেকানিজম, স্বয়ংক্রিয় হ্যাচ সিস্টেম, মাইক্রোগ্র্যাভিটি গবেষণা ও প্রযুক্তি প্রদর্শনের জন্য প্ল্যাটফর্ম।
২০২৩ সালের ৩০ ডিসেম্বর উৎক্ষেপিত পিএসএলভি সি৬০ রকেটের মাধ্যমে ২২০ কিলোগ্রাম ওজনের দু'টি উপগ্রহ ৪৭৫ কিলোমিটার উচ্চতায় কক্ষপথে স্থাপন করা হয়। স্পেডেক্স মিশনের মূল লক্ষ্য ছোট মহাকাশযান ব্যবহার করে মহাকাশে ডকিং প্রযুক্তি চালু করা।