নয়া দিল্লি: পর পর কানফাটানো আওয়াজ। বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে বীভৎস শব্দ। হঠাৎই দেখা গেল রক্তাক্ত অবস্থায় পর পর লুটিয়ে পড়ছেন পড়ুয়ারা। বৃহস্পতিবার ফ্লোরিডা স্টেট ইউনিভার্সিটিতে এক বন্দুকধারীর গুলিতে মৃত্যু হল দু'জনের। ঘটনায় অন্তত ২ জন নিহত এবং ৫ জন আহত হয়েছেন। তবে নিহতরা শিক্ষার্থী নয় বলে জানিয়েছে পুলিশ, এমনটাই খবর সংবাদমাধ্যম বিবিসির সূত্রে।
যে ব্যক্তি সেখানে এলোপাথারি গুলি চালায় তার পরিচয়ও জানা গিয়েছে। জানা গিয়েছে, মায়ের বন্দুক নিয়ে সেখানে হামলা চালিয়েছিল ফোনেক্স ইনকার। ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের রাজধানী তালাহাসি লিওন কাউন্টির শেরিফ ওয়াল্টার ম্যাকনিল বলেন, অভিযুক্ত বন্দুকধারী ২০ বছর বয়সী এক তরুণ। বন্দুকধারী আমাদের বাহিনীর এক কর্মকর্তার ছেলে। ঘটনাস্থল থেকে যে সব বন্দুক উদ্ধার করা হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে একটি ওই অফিসারের।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়, সন্দেহভাজন বন্দুকধারীকে গুলি করেছে পুলিশ। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই তরুণ ফ্লোরিডা স্টেট ইউনিভার্সিটির (এফএসইউ) শিক্ষার্থী। ফ্লোরিডার গভর্নর রন ডিস্যান্টিস বলেন, এফএসইউ পরিবারের সঙ্গে আমরাও প্রার্থনা করছি। রাজ্যের আইন প্রয়োগকারীরা দ্রুত কাজ করছেন। তবে বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছার কথা জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়ে দিলেন, ফ্লোরিডার বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলার পরেও বন্দুক আইন পরিবর্তনের কথা ভাবা হচ্ছে না। সাংবাদিক সম্মেলনেই নিজেদের অবস্থানের কথা জানিয়ে দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। কী কারণে ওই আইনে বদল আনা হবে না তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘বন্দুক নিজে থেকে গুলি চালায় না। গুলি চালায় মানুষ।’
ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনির সঙ্গে বৈঠকের আগে, ট্রাম্প ফ্লোরিডা বিশ্ববিদ্যালয়ে গুলি চলার হওয়ার ঘটনাকে ‘লজ্জাজনক’ বলে অভিহিত করেছিলেন। ট্রাম্প বলেন, ‘আমি দ্বিতীয় সংশোধনীর একজন বড় সমর্থক। যা হচ্ছে শুরু থেকেই ঘটছে। আমি এটি রক্ষা করেছি। এই রকম ঘটনা বা জিনিস ভয়াবহ। কিন্তু বন্দুক গুলি করে না, মানুষ করে।’