কলকাতা: 'নারদকাণ্ডে গ্রেফতার, প্রতিহিংসার রাজনীতি' এমনই অভিযোগ তুলে গেরুয়া শিবিরের সঙ্গত্যাগ করলেন দীপেন্দু বিশ্বাস। গতকালই ই-মেলে বিজেপির সঙ্গে সম্পর্ক ত্যাগ করেছেন দীপেন্দু বিশ্বাস। তিনি জানিয়েছেন, গতকালই বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে জানিয়ে দিয়েছেন দীপেন্দু। গতকালের ঘটনায় 'যেভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে, ভাল লাগেনি’ বলেই প্রতিক্রিয়া দীপেন্দু বিশ্বাসের। 


গতকালই নারদকাণ্ডে গ্রেফতার করা হয়েছে ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, শোভন চট্টোপাধ্যায়, মদন মিত্রকে। সকাল থেকে একের পর এক নাটকীয় মোড়ের সাক্ষী ছিল নিজাম প্যালেস চত্ত্বর। সন্ধেতে নিম্ন আদালত তাঁদের জামিনের আর্জি মঞ্জুর করলেও, রাতে ফিরহাদদের জামিনে স্থগিতাদেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। জানানো হয়, পরবর্তী শুনানি পর্যন্ত প্রেসিডেন্সি জেলেই রাখা হবে এই ৪ হেভিওয়েটকে। মাঝরাতে ফের আরেক দফা উত্তজনা ছড়ায় প্রেসিডেন্সি জেল চত্ত্বরে। তবে দিনভর টানাপোড়েনে কার্যত অসুস্থ হয়ে পড়েন মদন, সুব্রত, শোভন। তাঁদের SSKM-এ ভর্তি করা হয়।


আর এই গোটা বিষয়টিই ভাল লাগেনি দীপেন্দুর। এ প্রসঙ্গে এবিপি আনন্দকে ফোনে তিনি জানিয়েছেন, 'গতকাল সকাল থেকে যা যা দেখেছি ভাল লাগেনি, গ্রেফতার ভাল লাগেনি। মনে হয়েছে এটা প্রতিহিংসা পরায়ন রাজনীতি।' তিনি আরও বলেন, সেই কারণেই গতকাল বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে ই-মেল করেছি। লিখেছি, বিজেপিক কোনও ব্যাপাকেই থাকতে চাই না। পদত্যাগ করলাম।'


২০১৬ সালে বসিরহাট দক্ষিণ কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের প্রার্থী হিসেবে জয়লাভ করেছিলেন দীপেন্দু বিশ্বাস। তৃণমূলের টিকিটে জয়লাভ করলেও এ বছর টিকিট না পেয়ে ক্ষুব্ধ হয়েই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন দীপেন্দু। এ প্রসঙ্গে দীপেন্দু জানিয়েছিলেন 'রবিবার রাতে পরিবারের সঙ্গে কথা বলেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।


বিজেপিতে গিয়েও বিজেপির প্রার্থী হতে পারেননি দীপেন্দু। তাঁকে দলের রাজ্য কমিটির স্থায়ী সদস্য করা হয়েছিল। আর এবার ফের বিজেপির সঙ্গে যোগ ছাড়লেন তিনি। যদিও পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে কিছু জানাননি দীপেন্দু। তিনি কি আবারও তৃণমূলেই ফিরবেন? তা নিয়ে মন্তব্য করেনি কোনও পক্ষই।