ওয়াশিংটন: পাকাপাকিভাবে তাঁকে ব্লক করেছে ট্যুইটার। হাঙ্গামায় ইন্ধন দেওয়ার অভিযোগে কিছু সময়ের জন্য ব্লক করে দিয়েছিল ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম। কিন্তু তাতে কুছ পরোয়া নেহি..। এবার নিজের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম বানাবেন বলে জানালেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।


দিন কয়েক আগে মার্কিন গণতন্ত্রণের পীঠস্থান ক্যাপিটলে ট্রাম্প সমর্থকদের তাণ্ডবের জন্য অনেকেই দায়ী করেছিলেন বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্টকে। তাঁর বিরুদ্ধে উঠেছিল হাঙ্গামায় ইন্ধন দিয়ে হিংসা ছড়ানোর অভিযোগ।

সেসময় টুইটার, ফেসবুকের মতো সংস্থা সাময়িকভাবে ট্রাম্পকে ব্লক করেছিল। এবার ডোনাল্ড ট্রাম্পের তিনটি অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিল টুইটার। কিন্তু এই সব কিছুর পরেও হার মানার পাত্র নন তিনি। জানিয়েছেন, এবার নিজের জন্যই সোশ্যাল মিডিয়া বানাবেন তিনি।

প্রথমে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট @realDonaldTrump বন্ধ করে টুইটার। মাইক্রোব্লগিং সংস্থা জানায়, ডোনাল্ড ট্রাম্পের বক্তব্য থেকে হিংসা ছড়িয়ে পড়ার সমূহ আশঙ্কা রয়েছে। তাই এই অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। এরপর অন্য অ্যাকাউন্ট থেকে উদয় হন ট্রাম্প।
@POTUS তথা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প অ্যাকাউন্ট থেকে টুইট করা শুরু করেন তিনি। যেখানে টুইটারের উদ্দেশ্যে তোপ দেগে তিনি বলেন, বহুদিন ধরেই বলে আসছিলাম, টুইটার সংস্থা বাকস্বাধীনতা খর্ব করতে উদ্যত। কিন্তু তাদের জানিয়ে দিতে চাই, তারা সফল হবেন না। আমার গলা থামানো যাবে না। যাবতীয় বক্তব্য আমি জনসমক্ষে পেশ করবই, আপনারা সঙ্গে থাকুন। টুইটার দ্রুত ট্রাম্পের ওই অ্যাকাউন্টটিও চিরতরে বন্ধ করে দেয়।

এরপর @TeamTrump অ্যাকাউন্ট থেকে ফের ট্যুইট করা শুরু করেন তিনি। বাকস্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের অভিযোগ তোলেন ট্যুইটার কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। কিন্তু সেই অ্যাকাউন্টও বন্ধ করে দেয় টুইটার।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে মর্কিন প্রেসিডেন্ট হিসাবে নির্বাচিত হন ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিরোধী প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনকে পরাজিত করেন তিনি। সংশ্লিষ্ট নির্বাচন পর্ব থেকেই টুইটারে অ্যাক্টিভ হতে শুরু করেন ট্রাম্প।গত ৪ বছরের বেশি সময় একাধিক বিষয় নিয়ে ট্যুইট করে বিতর্কে জড়িয়েছেন তিনি। তিনি বিশ্বের প্রথম রাষ্ট্রনেতা যার অ্যাকাউন্ট সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয় ট্যুইটার। আর এবার পাকাপাকিভাবে অ্যাকাউন্ট বন্ধ করল ট্যুইটার।