হায়দরাবাদ: ঝুলন্ত (hanging) অবস্থায় উদ্ধার হল অন্ধ্রপ্রদেশের (andhra pradesh) প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী (Ex CM) এনটি রামা রাও-র (NTR) কন্যা (daughter) কণ্ঠমানেনি উমা মাহেশ্বরীর দেহ। পুলিশের ধারণা, আত্মঘাতী হয়েছেন তিনি। এদিন হায়দরাবাদের (hyderabad) জুবিলি হিলসের বাড়ি থেকে তাঁর দেহ (body) পাওয়া যায়। ময়নাতদন্তের জন্য স্থানীয় একটি হাসপাতালে দেহ পাঠানো হয়েছে। মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। 


যা জানা গেল...
টিডিপি প্রতিষ্ঠাতা রামা রাও-র ১২ জন সন্তানের মধ্যে সবচেয়ে ছোট ছিলেন উমা। কী ভাবে কী ঘটল এখনও স্পষ্ট নয়। হায়দরাবাদের পুলিশ কমিশনার সি ভি আনন্দ জানিয়েছেন, কোনও সুইসাইড নোট-ও পাওয়া যায়নি। পরিজনরা জানাচ্ছেন, এমনিতে স্বামীর সঙ্গে থাকতেন উমা। কিন্তু বর্তমানে একাই ছিলেন। সম্ভবত স্বামী গত কিছু দিন বাইরে। গত রবিবার ছোট মেয়ে-জামাই এসে দেখা করে যায় তাঁর সঙ্গে। তার পর কী হল ঠাওর করতে পারছেন না কেউই। তবে প্রাথমিক ভাবে জানা যাচ্ছে, দুপুর ১২টা নাগাদ ঘরে ঢুকে ভিতর থেকে তালা বন্ধ করে দেন তিনি। পরে জোর করে দরজা ভাঙতে হয়। তত ক্ষণে সব শেষ। 

প্রতিক্রিয়া...
ভয়ঙ্কর খবর পেতেই জুবিলি হিলসে উমার বাসভবনে ছুটে যান প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও বিজেপি নেত্রী দুগ্গুবতী পুরন্দেশ্বরী। আসেন টিডিপি প্রেসিডেন্ট ও অন্ধ্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নাইডু-র স্ত্রী নারা ভুবনেশ্বরীও। দুগ্গুবতী এবং নারা, দুজনেই সম্পর্কে উমার বোন। মর্মান্তিক খবর পেয়ে ছুটে এসেছিলেন এন চন্দ্রবাবু নাইডু, তাঁর ছেলে নারা লোকেশ-সহ বহু আত্মীয় পরিজন। শোনা যাচ্ছে, গত কিছু সময় ধরে অদ্ভুত রোগে ভুগছিলেন তিনি। সম্ভবত অবসাদও ঘিরে ধরেছিল। তাতেই চরম পথ বেছে নিলেন নাকি মৃত্যুর অন্য কোনও কারণ রয়েছে, সেটা অবশ্য ময়নাতদন্তে আরও স্পষ্ট হবে।


আরও পড়ুন:'সরকার কি চায় কাঁচা সব্জি খেয়ে থাকি', বিতর্কের মাঝেই বেগুনে কামড় তৃণমূল সাংসদের