নয়াদিল্লি: নতুন করে প্রেসিডেন্ট হওয়ার দৌড়ে নেমেছেন। তার মধ্যেই বড় ধাক্কা খেলেন আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তুলেছিলেন লেখিকা E. Jean Carroll. ট্রাম্প ধর্ষণের কথা অস্বীকার করে, তাঁকে মিথ্যাবাদী সাজিয়ে, তাঁর ভাবমূর্তির ক্ষতি করেছেন বলেও দাবি করেন অভিযোগকারিণী। সেই নিয়ে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মানহানির মামলাও ঠোকেন। সেই মামলাতেই এবার অভিযোগকারিণীকে মোটা টাকার ক্ষতিপূরণ দিতে হবে বলে ট্রাম্পকে নির্দেশ দিল আদালত। (Donald Trump)
আমেরিকার আদালতে ম্যানহ্যাটন জ্যুরি ওই মানহানির মামলার শুনানি করছিল। তারাই ট্রাম্পকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অভিযোগকারিণীকে ৮৩.৩ মিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ দিতে হবে ট্রাম্পকে, ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ৭০০ কোটি টাকা। গত পাঁচ দিন ধরে এই মানহানি মামলার শুনানি চলছিল। শেষ পর্যন্ত শুক্রবার তিন ঘণ্টা ধরে পর্যালোচনার পর এই রায় শোনায় ম্যানহ্যাটন জ্য়ুরি। E. Jean Carroll ট্রাম্পের থেকে কমপক্ষে ১০ মিলিয়ন ডলার দাবি করেছিলেন। কিন্তু আদালত তার চেয়ে অনেক বেশি টাকা দিতে নির্দেশ দিয়েছে। (US President Electionbs 2024)
বিষয়টি নিয়ে উচ্চতর আদালতে যাওয়ার কথা ভাবছেন ট্রাম্প। তবে এই রায় ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারে প্রভাব ফেলতে চলেছে বলে মত আমেরিকার রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। চলতি বছরের নভেম্বর মাসে আমেরিকায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। দ্বিতীয় দফায় হোয়াইট হাউসের বাসিন্দা হতে এই মুহূর্তে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছেন ট্রাম্প। রিপাবলিকান শিবিরে দৌড়ে এগিয়েও রয়েছেন তিনি। জো বাইডেনকে পরাজিত করে হোয়াইট হাউসে প্রবেশের বিরুদ্ধে একরকম বদ্ধপরিকর ট্রাম্প।
কিন্তু নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ক্ষেত্রে একের পর এক বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন ট্রাম্প। সেই নিয়ে সম্প্রতি ক্ষোভও প্রকাশ করেন তিনি। বলেন, "আইন ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছে। রাজনীতির হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে দেশের আইন ব্যবস্থা। এটা আমেরিকা হতে পারে না।" এই মানহানির মামলার শুনানি চলাকালীন, অধিকাংশ দিনই আদালতে উপস্থিত ছিলেন ট্রাম্প। কিন্তু রায়দানের দিন অনুপস্থিত ছিলেন তিনি। তবে আদালেত উপস্থিত ছিলেন E. Jean Carroll. তিনি বলেন, "ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দেওয়ার পরও যাঁরা উঠে দাঁড়ানোর সাহস দেখান, আজ সেই প্রত্যেক নারীর জয় হল। আর যাঁরা নারীদের পদানত করে রাখতে চান, পরাজয় হল তাঁদের।"
লেখার জগতে নিজস্ব পরিচিতি রয়েছে E. Jean Carroll-এর। Emmy পুরস্কারের জন্যও মনোনীত হয়েছিলেন। নিউ ইয়র্কের একটি আদালতে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করেন তিনি। তাঁর দাবি, ১৯৯৬ সালে নিউ ইয়র্কের একটি হোটেলে ট্রাম্প তাঁকে ধর্ষণ করেন। নিজের লেখা বইয়েও সেই ঘটনার কথা উল্লেখ করেছেন ক্যারল। জানান, সেই ভয়াবহ অভিজ্ঞতা কাটিয়ে উঠতে পারেননি তিনি। কিন্তু গোটা ঘটনা অস্বীকার করেন ট্রাম্প। তাঁকে মিথ্যাবাদী বলে উল্লেখ করেন। তাতে তাঁর কেরিয়ার এবং ভাবমূর্তি নষ্ট হয়। সেই নিয়ে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করেন।