কলকাতা: বছর শেষের আগেই আমজনতার জন্য সুখবর দিল কেন্দ্র (Center)। ২০২৩-এর ডিসেম্বর পর্যন্ত বিনামূল্যে রেশন (Ration) দেবে কেন্দ্রীয় সরকার, এমনটাই ঘোষণা কেন্দ্রীয় খাদ্যমন্ত্রীর ।
প্রসঙ্গত, কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তে উপকৃত হবেন অন্তত ৮০ কোটি মানুষ। আগামী বছর রেশন বাবদ কেন্দ্রের খরচ হবে ২ লক্ষ কোটি টাকা। দেশে যথেষ্ট খাদ্যশস্য মজুত আছে বলে গত সপ্তাহেই জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনার আওতায় বিনামূল্যে রেশনের মেয়াদ ফের বাড়াল কেন্দ্র।
জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইনের আওতায় শস্য কেনার জন্য সামান্য হলেও টাকা দিতে হত গ্রাহকদের। ৩ টাকা কেজি দরে চাল এবং ২ টাকা কেজি দরে গম দেওয়া হয়। এবার সেইসব গ্রাহকদের আর কোনও টাকাই দিতে হবে না। শুক্রবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিপরিষদের গৃহীত সিদ্ধান্ত সম্পর্কে সাংবাদিকদের খাদ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল জানিয়েছেন, জাতীয় খাদ্য নিরাপত্তা আইনের অধীনে বিনামূল্যে খাদ্যশস্য সরবরাহের পুরো ভার কেন্দ্র বহন করবে ।
আরও পড়ুন, চিনে ভয়ঙ্কর হারে বাড়ছে করোনা! ফের কি ফিরতে চলেছে লকডাউন?
এর ফলে রাজকোষে বার্ষিক ব্যয় হতে পারে, ২ লক্ষ কোটি টাকা, এমনটাই অনুমান। একই সঙ্গে সরকার বিনামূল্যে রেশন প্রকল্পের প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনা (PMGKAY) বৃদ্ধি না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা ৩১ ডিসেম্বর শেষ হবে । প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনার অধীনে, জাতীয় খাদ্য নিরাপত্তা আইনের আওতায় ৮১.৩৫ কোটি সুবিধাভোগীকে প্রতি মাসে পাঁচ কিলোগ্রাম খাদ্যশস্য বিনামূল্যে দেওয়া হয়।
২০২০ সালে দেশজুড়ে কোভিড সংক্রমণে লকডাউনের জেরে কেন্দ্রের তরফে দরিদ্রদের জন্য বিনামূল্যে রেশন বণ্টনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল কেন্দ্রের তরফে। সেই প্রকল্পের আওতায় মাথাপিছু মাসিক ৫ কেজি হারে খাদ্যশস্য পুরোপুরি বিনামূল্যে দেওয়া হত। পরপর ২ বছর তা দেওয়া হয়েছে।
চিনে করোনার জেরে এখন হাহাকার হলেও, ভারতে এখনও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। তাই লকডাউন একদমই নয়। তবে সামনেই বড় দিন, বর্ষবরণ। প্রচুর লোকের সমাগম। তাই জীবন চলুক নিজস্ব গতিতে, তবে অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, লকডাউন কোনওমতেই করোনা মোকাবিলার পথ হতে পারে না! বিশ্বজুড়ে যেখানে মন্দা মাথাচাড়া দিচ্ছে, তখন লকডাউন মানে অর্থনীতির কোমর আরও ভেঙে দেওয়া। সাধারণ মানুষকে বিপদের মুখে ঠেলে দেওয়া।