নয়াদিল্লি: ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত পলাতক স্বঘোষিত গডম্যান নিত্যানন্দ ইকুয়েডরের কাছে একটি দ্বীপ কিনে সেখানে নিজের একটি নতুন ‘রাষ্ট্র’ তৈরি করেছেন বলে খবর। তার নামও দিয়েছেন। ‘কৈলাস’। পৃথিবীর বুকে এটি সর্বশ্রেষ্ঠ, সার্বভৌম হিন্দুরাষ্ট্র বলে দাবি করা হয়েছে তাঁর ওয়েবসাইটে। নতুন দেশের নিজস্ব পতাকা, প্রতীকও বানিয়েছেন নিত্যানন্দ।
বিতর্কিত এই ধর্মগুরু দেশব্যাপী একাধিক আশ্রম চালান। ‘নিত্যানন্দ ধ্যানপীঠম’ নামে একটি ধর্মীয় সংগঠনও খুলেছেন। নিত্যানন্দের ওয়েবসাইটে পোস্ট হওয়া একটি ভিডিও অনুসারে, তিনি ১২ বছর বয়সে ‘আলোকপ্রাপ্ত’ হয়েছেন। ভিডিওতে তাঁকে হিন্দুধর্মের আধ্যাত্মিক নেতা বলে দেখানোর পাশাপাশি তিনি ৪৭টি দেশে কেন্দ্র চালান বলেও জানানো হয়েছে। গুজরাত থেকে অল্পবয়সী ছেলেমেয়ে, বাচ্চাদের অপহরণে অভিযুক্ত নিত্যানন্দের ধর্ষণ, অস্বাভাবিক যৌনমিলন, প্রতারণা, ফৌজদারি ভীতিপ্রদর্শনের মামলায় বিচার চলছিল ২০১৮-র জুলাই থেকে। সম্প্রতি জানা যায়, তিনি দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন।
ওয়েবসাইটে দাবি করা হয়েছে, কৈলাস হল দুনিয়াব্যাপী যে হিন্দুরা নিজ নিজ রাষ্ট্রে রীতিনিয়ম মেনে হিন্দু ধর্ম পালন করার অধিকার খুইয়ে উত্খাত হয়েছেন, তাদেরই জন্য সীমানাহীন রাষ্ট্র হল কৈলাস। নতুন রাষ্ট্রে সবার জন্য নিখরচায় স্বাস্থ্য পরিষেবা, পড়াশোনা, খাবার মিলবে বলে প্রতিশ্রুতি রয়েছে। মন্দির-কেন্দ্রিক জীবনশৈলি ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যের কথাও বলা হয়েছে। ওয়েবসাইট অনুসারে, কৈলাসের জনসংখ্যার ১০ কোটি আদি শৈববাদী, ২০ লক্ষ ধর্ম পালন করা হিন্দু। সেখানে চলে তিনটি ভাষা ইংরেজি, সংস্কৃত, তামিল। কৈলাস ‘সারা বিশ্বের জাতপাত, লিঙ্গ, গোষ্ঠী-সম্প্রদায় নির্বিশেষে সব নির্যাতিত হিন্দুর নিরাপদ ঠাঁই বলে উল্লেখ করা হয়েছে ওয়েবসাইটে, যেখানে ‘তাঁরা শান্তিতে বসবাস করে হিংসামুক্ত পরিবেশে নিজেদের আধ্যাত্মিক চেতনা, শিল্প, সংস্কৃতি পালন ও মতপ্রকাশ করতে পারবেন’। এই স্বাধীন রাষ্ট্রে অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা, অর্থ, বাণিজ্য, আবাসন, মানবিক পরিষেবা, শিক্ষা ও আরও নানা দপ্তর রয়েছে বলেও দাবি করা হয়েছে।