পুনে: বিয়ের জন্য তিল তিল করে জমানো টাকা উজাড় করে দিয়ে পরিযায়ী শ্রমিকদের মুখে খাবার তুলে দিয়েছেন তিনি। পুনের রিকশা চালকের খবর ছড়িয়ে পড়তে সাহায্য এসে পৌঁছচ্ছে গোটা দেশ থেকে। অসংখ্য মানুষ তাঁকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন, দিয়েছেন পাশে থাকার আশ্বাস।
৩০ বছরের ওই রিকশা চালকের নাম অক্ষয় কোঠাওয়ালে। সাহায্য হিসেবে তাঁর কাছে যে টাকা এসে পৌঁছেছে তাও তিনি খরচ করছেন গরিব মানুষের খাবার ও রেশনের জোগাড় করতে। অক্ষয় জানিয়েছেন, যাঁরা তাঁকে সাহায্য পাঠিয়েছেন তাঁদের কাছে তিনি কৃতজ্ঞ। পুনের রাস্তায় যাঁদের খাবারের জন্য পড়ে থাকতে দেখেন, তাঁদের জন্যই এই টাকা খরচ করছেন তিনি।
বিয়ের জন্য ২ লাখ টাকা জমিয়েছিলেন অক্ষয়। ২৫ মে বিয়ে হওয়ার কথা ছিল কিন্তু লকডাউনের জন্য পিছিয়ে যায়। গরিব, বিশেষত শ্রমিকদের কষ্ট দেখে আর স্থির থাকতে পারেননি তিনি। কয়েকজন বন্ধুকে নিয়ে গড়ে তোলেন একটি রান্নাঘর, বিয়ের জন্য জমানো টাকা খরচ করে দরিদ্রদের জন্য রান্না চড়ান তাঁরা। তারপর বিলি করতে শুরু করেন রান্না করা খাবার। এর মধ্যে গত মাসে অক্ষয়ের বাবার মৃত্যু হয়। কিন্তু তাতেও নিজের ব্রত থেকে সরে আসেননি তিনি।
তাঁর কথা পড়ে দেশের নানা প্রান্ত থেকে অসংখ্য মানুষ তাঁকে অর্থসাহায্য করেছেন। অক্ষয় জানিয়েছেন, ৬ লাখের মত টাকা পেয়েছেন তিনি। সেই টাকা দিয়ে কিনেছেন মুদির দোকানের জিনিসপত্র। এবার দুর্গত পরিবারগুলির মধ্যে রেশন বিলি করবেন তাঁরা।
এছাড়া নিজের অটো রিকশায় বয়স্ক ও অন্তঃসত্ত্বাদের বিনা মূল্যে চিকিৎসকের কাছে পৌঁছে দেন অক্ষয়। অটো রিকশায় লাউড স্পিকার লাগিয়েছেন, তার মাধ্যমে তিনি ও  তাঁর বন্ধুরা করোনা সম্পর্কে সচেতনতার বার্তা দেন মানুষের মধ্যে।