নয়াদিল্লি: ফের গগনযান প্রকল্পে হাত দিয়েছে ইসরো। এই প্রকল্প সফল হলে মহাকাশচারীদের এই প্রথম মহাকাশে পাঠাবে তারা। ইসরো চেয়ারম্যান কে শিবন ইঙ্গিত দিয়েছেন, ২০২২-এর অগাস্টে গগনযান বাস্তবায়িত হতে পারে। যদিও করোনার জেরে অল্পস্বল্প পরিবর্তনও হতে পারে এই সময়সীমায়।

দেশের স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে ২০২২-এ গগনযান মিশন ৩ জন মহাকাশচারীকে মহাশূন্যে পাঠানোর পরিকল্পনা করেছে। ৫-৭ দিন মহাকাশে কাটাবেন তাঁরা। এ জন্য ভারতীয় বায়ুসেনার ৪ সদস্যকে বেছে নেওয়া হয়েছে, তাঁদের প্রশিক্ষণ চলছে পুরোদমে। হিন্দুস্থান অ্যারোনটিক্যাল লিমিটেড ও ডিআরডিও প্রযুক্তিগত সহায়তা দিয়ে সাহায্য করছে ইসরোকে। ডিআরডিও মহাকাশে নিয়ে যাওয়ার মত খাবারদাবার, ক্রুদের স্বাস্থ্য সম্পর্কিত ব্যবস্থা ও অন্যান্য ব্যাপার খেয়াল রাখছে।

এছাড়া গগনযান প্রকল্পে সাহায্য করছে অন্যান্য আন্তর্জাতিক মহাকাশ সংস্থাও। রাশিয়া প্রশিক্ষণ দিচ্ছে গগনযানে নির্বাচিত হওয়া ৩ বায়ুসেনা কর্মীকে, এছাড়া দিচ্ছে স্পেস স্যুট। ফ্রান্স দিচ্ছে স্পেস মেডিক্যাল টেকনোলজি, নাসাও যুক্ত রয়েছে এই মিশনে। ইসরো চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, ৫৯টি দেশের সঙ্গে মহাকাশে সহায়তামূলক ২৫০টি নথিতে স্বাক্ষর করেছে ভারত। এর ফলে ভারতের মহাকাশে সক্ষমতা আরও বাড়বে, অন্যান্য যে সব দেশ মহাকাশে যেতে আগ্রহী, তাদেরও সাহায্য করতে পারবে।

এ মাসের ১৪ তারিখ শিবনকে অ্যালান ডি ইমেল মেমোরিয়াল অ্যাওয়ার্ড দিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল অ্যাস্ট্রোনটিক্যাল ফেডারেশন বা আইএএফ। মহাকাশ বিজ্ঞান, মহাকাশ প্রযুক্তি, মহাকাশ ঔষধ অথবা মহাকাশ সম্পর্কিত আইনের ক্ষেত্রে প্রতি বছর এই গুরুত্বপূর্ণ পুরস্কার দেওয়া হয়।