মুম্বই: জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে (জেএনইউ) অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের (এবিভিপি) মেয়েদের হস্টেলে ঢুকে তাণ্ডবের প্রতিবাদে মুম্বইয়ের গেটওয়ে অব ইন্ডিয়ায় অবস্থান, বিক্ষোভ চলাকালে কাশ্মীরের মুক্তি চেয়ে ‘ফ্রি কাশ্মীর’ প্ল্যাকার্ড দেখা গিয়েছিল এক মহিলার হাতে। এজন্য মুম্বই পুলিশ তাঁকে চিহ্নিত করেছে, তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে বলে জানালেন মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখ। ৩৭ বছর বয়সি তেজল প্রভু ওরফে মাহেক মির্জা প্রভু নামে ওই মহিলা পরিচিত কবি ও গল্পকার হিসাবে।
বিক্ষোভ, অবস্থানে মুম্বইয়ের বাসিন্দাদের অসুবিধা হয়, যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটে, তাই গেটওয়ে অব ইন্ডিয়া প্রতিবাদ, বিক্ষোভ করার জায়গা নয় বলেও মঙ্গলবার এক অনুষ্ঠানে জানিয়েছেন দেশমুখ।
তবে তিনি বলেছেন, গেটওয়ে অব ইন্ডিয়ায় প্রতিবাদ জানানোয় কোনও পড়ুয়াকে অভিযুক্ত করব না আমরা। আমরা শুধু প্রতিবাদস্থল আজাদ ময়দানে সরিয়ে দিয়েছি। পুলিশ ‘ফ্রি কাশ্মীর’ লেখা প্ল্যাকার্ড হাতে এক মহিলাকেও দেখেছে। তাঁকে শনাক্ত করা হয়েছে, তাঁর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করা হবে। আমরা প্রতিবাদী, বিক্ষোভকারীদের বলেছি, এধরনের কোনও প্ল্যাকার্ড নিয়ে যেন না আসেন, যাতে তাঁরা নিজেরাই সমস্যায় পড়েন।
এদিকে ‘ফ্রি কাশ্মীর’ পোস্টার নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরেকে ট্যুইটে কটাক্ষ রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফঢ়নবিশের। কী করে আপনার নাকের ডগায় কাশ্মীরকে মুক্ত করার ডাক দিয়ে এমন ভারত-বিরোধী বিক্ষোভ চলল? প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। ফঢ়নবিশ লিখেছেন, ঠিক কীসের জন্য প্রতিবাদ? কেন ‘ফ্রি কাশ্মীর’ স্লোগান? মুম্বইয়ে এহেন বিচ্ছিন্নতাবাদী লোকজনকে কী করে সহ্য করব? মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরের (সিএমও) ২ কিমি দূরে আজাদী গ্যাংয়ের ‘ফ্রি কাশ্মীর’ স্লোগান? আপনার নাকের ডগায় কাশ্মীরকে মুক্ত করে এহেন ভারত-বিরোধী প্রচার কি সহ্য করবেন উদ্ধবজি!!!
জেএনইউয়ে রবিবার সন্ধ্যায় কয়েক ঘন্টা মুখোশধারী হামলাবাজদের তান্ডবে একাধিক ছাত্রছাত্রী, শিক্ষকদের জখম হওয়ার প্রতিবাদে কয়েক ঘন্টার মধ্যেই গেটওয়ে অব ইন্ডিয়ায় বিক্ষোভ শুরু হয়। ‘এবিভিপি নিষিদ্ধ হোক’, ‘জেএনইউয়ের পাশে দাঁড়ান’ লেখা পোস্টার ছিল সেখানে। মঙ্গলবার সকালে বিক্ষোভকারীদের মধ্যে থেকে প্রায় ৫০জনকে মুম্বইয়ের তাজ মহল প্যালেসের বাইরে থেকে বাসে তুলে ২ কিমি দূরে আজাদ ময়দানে সরিয়ে দেয় পুলিশ। বাকিদেরও সেখানে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ দেখাতে বলা হয়।