পুরী : ১২ জুলাই পুরীর জগন্নাথদেবের বাৎসরিক রথযাত্রা। যা এবার ভক্ত সমাগম ছাড়াই অনুষ্ঠিত হবে। করোনা অতিমারির কারণে টানা দুবছর এভাবে রথযাত্রা উৎসব পালিত হতে চলেছে। শুধুমাত্র সেবাইতরা জগন্নাথ, বলভদ্র ও সুভদ্রার রথ টানবেন।


পুরীর জগন্নাথ মন্দির সংক্রান্ত সর্বোচ্চ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে ছত্তিসা নিযোগ। তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এবার মন্দির প্রশাসনের কোনও আধিকারিক, জেলা প্রশাসন বা কোনও পুলিশ আধিকারিককে রথ টানার অনুমতি দেওয়া হবে না। এমনকী তাঁদের রথের দড়িও স্পর্শ করতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন শ্রী জগন্নাথ মন্দির প্রশাসনের প্রধান কৃষ্ণ কুমার।


জগন্নাথ মন্দিরের রথযাত্রা সম্ভব হয়ে ওঠে যে কার্যকর্তাদের জন্য :


ছত্তিসা নিযোগা : পতজোশি মহাপাত্র হচ্ছেন ছত্তিসা নিযোগা নায়ক(সেবাইতদের ঐতিহ্যবাহী ৩৬টি বিভাগের প্রধান)। দৈনন্দিন রীতি-নীতি এবং উৎসব কীভাবে পালিত হচ্ছে তার তদারকি করেন ইনি)।


ভিতরছা মহাপাত্র : প্রত্যেক দিন সকালে মন্দির খোলার দায়িত্বপ্রাপ্ত। এছাড়া সকালের আরতিও করেন।


তালিছা মহাপাত্র- পহুদা-র(দরজা বন্ধের আগে ও দেবতাদের ঘুমাতে যাওয়ার আগে শেষ আচার) পর রাতের দরজা বন্ধ করেন।


দেওলা পুরোহিত :  অক্ষয় তৃতীয়া ও রথযাত্রার সময় বা এককথায় উৎসবের সময় প্রধান আচার-অনুষ্ঠানগুলি পালন করেন। 


দ্বৈতপতি নিযোগ : এই বডির মাথায় রয়েছেন দুর্গাদাস মহাপাত্র ও রবীন্দ্র দাস মহাপাত্র। পৌরাণিক কাহিনি অনুয়ায়ী, প্রভু জগন্নাথদেবের নিকট আত্মীয় মনে করা হয় দ্বৈতপতিদের। তাঁরা বিশ্ববসুর উত্তরসূরি বলে মনে করা হয়। পুরীর মন্দিরে আসার আগে জগন্নাথের পুজো করতেন এই বিশ্ববসু।


পুষ্পলোকা নিযোগ : এই বডির মাথায় আছেন হৃক্রুষ্ণ সিংহরি। এঁরা মন্দিরের সিংহরি সেবক। যাঁরা রোজ দেবতাদের পোশাক পরেন। 


প্রতিহারি নিযোগ : রাম নারায়ণ গোচ্ছিকার। ইনি দেবতাদের পাহারা দেন। তীর্থযাত্রীদের সুবিধা-অসুবিধা দেখেন। তাঁদের গতিপ্রকৃতির দিকেও নজর রাখেন।


সুয়ারা মহাসুয়ারা নিযোগ : এর মাথায় রয়েছেন নারায়ণ মহাসুয়ার এবং কৃষ্ণচন্দ্র প্রতিহার। 


মহাজন : এই সেবাইতদের মাথায় রয়েছেন জগন্নাথ কর। দক্ষিণ ঘরে মোতায়েন থাকা সব দেবদেবীর সেবা করেন। বল্লভ ভোগ নিবেদন করেন।


এছাড়াও রয়েছেন আরও অনেক কার্যকর্তা। যাঁদের তত্ত্বাবধানে সামগ্রিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।