কলকাতা: SNCU’র ওয়ার্মারে যান্ত্রিক বিভ্রাট, ঝলসে গেল ১১দিনের সদ্যোজাত! পার্ক সার্কাসের ন্যাশনাল ন্যাশনাল মেডিক্যাল হাসাপাতালের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ এনেছে শিশুর পরিবার। শুক্রবার বিকেলের দিকে এসএনসিইউর ওয়ার্মারে বিভ্রাটে দুর্ঘটনার অভিযোগ ওঠে। তাতেই ১১ দিনের শিশু ঝলসে যাওয়ার অভিযোগ তোলে পরিবার।


সিক নিউবর্ন কেয়ার ইউনিটের সামনে বিক্ষোভ দেখায় সদ্যোজাতর পরিবার। যদিও ঝলসে যাওয়ার কথা অস্বীকার করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ওয়ার্মার বিভ্রাট নিয়ে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষের দাবি, 'ওয়ার্মারে কিছু যান্ত্রিক ত্রুটি হয়েছিল, এখন সদ্যোজাতের অবস্থা স্থিতিশীল।'


ওয়ার্মারে যান্ত্রিক ত্রুটিতেই কি ঝলসে গেল একরত্তি শিশু? হাসপাতালের বিরুদ্ধে অন্তত এমনই গুরুতর অভিযোগ এনেছে শিশুর পরিবার। প্রতিবাদে পার্ক সার্কাসের ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল চত্বরে বিক্ষোভও দেখায় শিশুর পরিবার।


জানা গিয়েছে, বারুইপুরের এক দম্পতির ১১ দিনের সন্তানকে ভর্তি করা হয় ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের সিক নিউবর্ন কেয়ার ইউনিটে। পরিবারের অভিযোগ, শুক্রবার সকাল ৯টা নাগাদ SNCU’-তে ওই সদ্যোজাতকে দেখতে যান তাঁর মা। তখনই তিনি দেখেন ওয়ার্মারে থাকা শিশুটির শরীরের এক দিকটা লাল হয়ে গিয়েছে এবং ওয়ার্মারের তাপমাত্রাও বেড়ে গিয়েছে।


এরপরই কর্তব্যরত নার্সদের ডেকে আনেন সদ্যোজাতর না। তখন জানা যায়, ওয়ার্মারে যান্ত্রিক বিভ্রাট দেখা দিয়েছে। আর তাতেই তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় ঝলসে যায় তাদের সন্তান।


শিশুর মা জানান 'সকালে দেখা যায় পা লাল হয়ে গেছে, শরীরের তাপমাত্রা অনেক বেড়েছে। এরপর দুপুর ৩টে নাগাদ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। SNCU’র সামনে শুরু হয় বিক্ষোভ।সত্যিই কি ঝলসে গিয়েছে সদ্যোজাত? তা নিয়ে কোনও মন্তব্য না করলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, ওয়ার্মারে যান্ত্রিক ত্রুটি হয়েছিল। 


ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার এস পতি জানিয়েছেন, একটা সমস্যা হয়েছিল, তা সমাধান হয়ে গেছে। শিশুটি ভাল আছে। তবে সেকথা শুনতে নারাজ পরিবার। বেশ কিছুক্ষণ বিক্ষোভ চলার পর পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।