নয়াদিল্লি: পূর্ব-নির্ধারিত সময় অনুযায়ী এবং নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে বুধবার পৃথিবী পার করল গ্রহাণু '১৯৯৮ ওআর২'।


মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার দেওয়া 'সম্ভাব্য বিপজ্জনক' তকমা পাওয়া এই গ্রহাণুটি পৃথিবী থেকে ৩৯ লক্ষ মাইল দূরত্ব -- যা পৃথিবী ও চাঁদের মধ্যের দূরত্বের ১৬ গুণ-- দিয়ে পার করেছে।


প্রথম থেকেই আনুমানিক এক মাইল থেকে আড়াই মাইল চওড়া এই গ্রহাণুর ওপর নজর রেখেছিল পুয়ের্তো রিকোর আরেসিবো অবজার্ভেটরি। ১৯৯৮ সালে প্রথমবার এই গ্রহাণুর হদিশ পায় নাসা। সেই থেকেই তার ওপর নজর রাখা চলছে।


মহাকাশবিজ্ঞানীদের দাবি, এই গ্রহাণুর একটা প্রবণতা ছিল পৃথিবীর খুব কাছে চলে আসার। এমনকী, ভবিষ্যতে, সূর্যের প্রদক্ষিণ করে ফেরার সময়ও তা পৃথিবীর কাছ চলে আসতে পারে বলে আশঙ্কা।



যে কারণে, এই গ্রহাণুর ওপর ক্রমাগত নজরদারি চালাতে হবে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। তাঁদের গণিত অনুযায়ী, ২০৭৯ সালে ফিরে আসবে এই গ্রহাণু। সেবার পৃথিবী থেকে এর দূরত্ব এবারের তুলনায় ৩.৫ গুণ কম হবে।


এদিকে, গ্রহাণুর প্রকাশিত ছবি নিয়ে এর মধ্যেই রসিকতা শুরু করেছেন বিজ্ঞানীরা। সারা বিশ্বে এখন করোনাভাইরাসের প্রকোপে সকলে মাস্ক পরে রয়েছেন। বজায় রাখছেন সামাজিক দূরত্ব।


গ্রহাণুর ছবি প্রথমে দেখলে মনে হবে কেউ মাস্ক পরে রয়েছেন। যা দেখে বিজ্ঞানীরা বলছেন, গ্রহাণুকে দেখা যাচ্ছে সেও মাস্ক পরে রয়েছে এবং পৃথিবী থেকে 'ডিস্টান্সিং' বজায় রেখেছে।


আদপে, গ্রহাণুর ওপর যে ধূলিকণা থাকে, প্রবল গতির ফলে, তা চারদিকে এমনভাবে উড়তে থাকে,যে টেলিস্কোপে দেখলে মনে হয় যেন কেউ মাস্ক পরে রয়েছে।


এই গ্রহাণুটি প্রতি ১৩৪০ দিন বা ৩.৬৭ বছরে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে। নিজের অক্ষের উপর প্রতি ৪.১১ দিন অন্তর একটি ঘূর্ণন সম্পূর্ণ করে।