ইসলামাবাদ: করোনাভাইরাসের শিকার এক পাকিস্তানি চিকিত্সক। প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে করোনাভাইরাস আক্রান্তদের শুশ্রুষার কাজ করছিলেন গিলগিট বালুচিস্তানের ওই চিকিত্সক।  পর্যটকদের জন্য একটি কোয়ারেন্টিন কেন্দ্রে চিকিত্সার কাজে নিযুক্ত ছিলেন তিনি। গিলটিগ বালুচিস্তানে আসা পর্যটকদের জন্য ওই কোয়ারেন্টিন কেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে।সেখানে উসমা রিয়াজ নামে ওই চিকিত্সক নিযুক্ত ছিলেন। সেখানে রোগীদের সেবায় অক্লান্ত পরিশ্রম করছিলেন তিনি। সামান্য বিশ্রামও নিচ্ছিলেন না তিনি।    গত শুক্রবার রাতে কাজের পর বাড়িতে ফিরে যান ওই চিকিত্সক। কিন্তু সকালে ঘুম থেকে না ওঠায় পরিজনরা তাঁর ঘরে গিয়ে অচেতন অবস্থায় দেখতে পান। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে গিলগিট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।


হাসপাতালে তাঁর পরীক্ষায় করোনাভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়ে। অভিযোগ, গিলগিট হাসপাতালে উপযুক্ত চিকিত্সার সুবিধা ছিল না। হাসপাতালে কোনও নিউরোসার্জেন না থাকায় উপযুক্ত চিকিত্সা করা সম্ভব হয়নি বলেও অভিযোগ।  হাসপাতালে সিটিস্ক্যান ও এমআরআই মেশিনও গত দুই মাস অকেজো হয়ে পড়ে রয়েছে বলে অভিযোগ। পরিজনরা হাসপপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে বারেবারেই আক্রান্ত চিকিত্সককে ইসলামাবাদে এয়ারলিফ্ট করে নিয়ে যাওয়ার অনুরোধ জানান। কিন্তু তাঁদের আর্জিতে কেউ সাড়া দেননি। এই কারণেই করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অক্লান্ত সৈনিককে তাঁর নিজের লড়াইয়ে হার মানতে হয়। যদিও গিলগিট বালুচিস্তানের স্বাস্থ্যবিভাগ কোনওরকম অবহেলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তারা বলেছে, ওই চিকিত্সকের শুশ্রুষার সব ধরনের আয়োজনই করা হয়েছিল। চিকিত্সার ক্ষেত্রে কোনও গাফিলতি ছিল না বলেও দাবি করেছে স্বাস্থ্যবিভাগ।