কঙ্গনা রানাউত মানেই যেন বিতর্ক।অপরাপর বিবাদ। কথার যুদ্ধ। মামলা। একের পর এক এই ধরনের ঘটনায় পূর্ণ তাঁর জীবন। গত বৃহস্পতিবারই তাঁর টুইটার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করার জন্য বম্বে হাইকোর্টে আবেদন জমা পড়েছে, আর তার রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও কঙ্গনার নামে আইনি নোটিশ পাঠালো দিল্লি শিখ গুরুদ্বার পরিচালন কমিটি (ডিএসজিএমসি)। ওই কমিটির পক্ষ থেকে আইনি নোটিশ পাঠিয়ে কঙ্গনা রানাওয়াতকে ক্ষমা চাইতে বলা হয়েছে।
style="font-weight: 400;">কঙ্গনা রানাওয়াত শাহিনবাগের বিলকিস বানোর সঙ্গে পাঞ্জাবে কৃষক আন্দোলনে যুক্ত এক ৭৩ বছরের মহিলার বিরুদ্ধে মন্তব্য করেন। যদিও সেই টুইট তিনি মুছে দেন সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচিত হওয়ার পর। সেই প্রসঙ্গকে তুলেই আইনি নোটিশ পাঠিয়েছে ডিএসজিএমসি।
বিতর্কের সূত্রপাত কৃষক আন্দোলনে যোগ দেওয়া এক বৃদ্ধাকে ‘শাহিনবাগের দাদি’ বিলকিস বানোর সঙ্গে গুলিয়ে ফেলা ও তাঁর সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য করার পরই। কঙ্গনা কটাক্ষ করে লিখেছিলেন, ‘এঁকে তো ১০০ টাকার বিনিময়েই পাওয়া যায়।’ এরপর থেকেই নেটিজেনদের অনেকেই ফুঁসে ওঠেন কঙ্গনার বিরুদ্ধে। যে মহিলাকে কঙ্গনা বিলকিস বানো বলে ভুল করেছিলেন, তাঁর আসল নাম মহিন্দর কউর। তিনিও ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে। বুধবার সেই দলে যোগ দেন দিলজিৎও।
এদিকে আগেই তাঁকে আইনি নোটিস পাঠিয়েছিলেন আইনজীবী হরকম সিং। এবার নোটিস পাঠালেন শিখ গুরুদ্বার ম্যানেজমেন্ট কমিটির এক সদস্যও । তাঁর ভেরিফায়েড টুইটার অ্যাকাউন্টটি মুছে ফেলার দাবিতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জমা পড়েছে পিটিশন। অভিযোগ, এরই মাধ্যমে লাগাতার ঘৃণা ও বিদ্বেষ ছড়াচ্ছেন অভিনেত্রী। পিটিশনটির উত্তরে কঙ্গনা জানিয়েছেন, মতামত জানানোর জন্য টুইটারই তাঁর একমাত্র প্ল্যাটফর্ম নয়।
এদিকে বৃহস্পতিবার দিনভর দিলজিতের সঙ্গে লাগাতার টুইট যুদ্ধ চলে তাঁর। মহিন্দর কউরকে বিলকিস বানোর সঙ্গে গুলিয়ে ফেলে তাঁকে ‘ভুয়ো’ বলেছিলেন কঙ্গনা। দিলজিৎ তাঁকে আক্রমণ করে প্রশ্ন করেছিলেন, ‘‘এতটা অন্ধ হলেন কী করে?’’ পালটা কঙ্গনা তাঁকে ‘করণ জোহরের পোষ্য’ বলে কটাক্ষ করেন। দিলজিৎও সুর চড়িয়ে জানতে চান, যাঁদের সঙ্গে কঙ্গনা কাজ করেছেন, তিনিও তাঁদের সকলের পোষ্য কিনা। কঙ্গনাও উত্তপ্ত জবাবে দিলজিৎকে ‘তোষামোদকারী’ বলে রীতিমতো কটু ভাষায় আক্রমণ করেন। সারা রাত ধরেই চলতে থাকে বাকযুদ্ধ। আইনজীবী এক বিবৃতিতে বলেন, ‘এটা আপনাকে জানানো হচ্ছে যে ওই মহিলা ভুয়ো নন। তাঁর নাম মহিন্দর কউর এবং তিনি ভাতিন্ডার বাসিন্দা। তিনি কৃষক লভ সিং নমবরদারের স্ত্রী। তিনি গোটা জীবন কৃষিক্ষেত্রেই কাটিয়েছেন এবং তিনি কৃষকের স্ত্রী।’ দিলজিত দোসাঁঝ, প্রিন্স নারুলা, সর্গুন মেহতা, হিমাংশি খুরানা সহ বহু অভিনেতাই কঙ্গনার এধরনের আচরণের তীব্র নিন্দা করছেন।