নয়া দিল্লি : মাইল্ড কোভিডে প্রয়োজন নেই সিটি স্ক্যানের। উপসর্গহীন অনেকেই প্রথমে সিটি স্ক্যান করাচ্ছেন। অজান্তেই তাঁরা বিপদে ডেকে আনছেন শরীরে। কোভিড চিকিৎসা নিয়ে দেশবাসীকে সতর্ক করলেন AIIMS-এর ডিরেক্টর রণদীপ গুলেরিয়া।


দেশে বেড়েই চলেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। একাধিক রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কড়া বিধিনিষেধের রাস্তায় হেঁটেছে সরকার। তবে বহু ক্ষেত্রেই কোভিডের চিকিৎসা নিয়ে এখনও পরিষ্কার নয় দেশবাসী। সোমবার খোদ এইমস-এর ডিরেক্টেরের মুখেও শোনা গেল সেই এক কথা। এদিন কোভিড চিকিৎসা প্রসঙ্গে রণদীপ গুলেরিয়া বলেন, '' অনেকেই সামান্য কোভিড হলে সিটি স্ক্যান করাচ্ছেন। তাঁদের বুঝতে হবে, সিটি স্ক্যান করিয়ে এ ক্ষেত্রে আদতে কোনও লাভ হবে না। বুকে কেবল একটা অংশ জুড়ে দাগ দেখাবে। যা কোনও চিকিৎসা ছাড়াই সেরে যাবে। এ নিয়ে বেশি ভাবার কিছু নেই।''


এই বলেই অবশ্য থেমে থাকেননি এইমস-এর ডিরেক্টর। তাঁর কথায়, বার বার এই স্ক্যানের ফলে পরবর্তীকালে বড় বিপদের সম্মুখীন হতে পারে যুব প্রজন্ম। এর ফলে তাদের ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেকটাই বেড়ে যাবে। সিটি স্ক্যানের ক্ষতিকারক রশ্মি শরীরে প্রভাব ফেলবে। একটা সিটি স্ক্যান করা মানে ৩০০-৪০০ বার এক্সরে করার সমান। তাই সামান্য কোভিডে সিটি স্ক্যানের পরিবর্তে এক্সরে করানো উচিত। ডাক্তার যদি বলেন, সেক্ষেত্রেই সিটি স্ক্যানের দিকে যান।


তবে শুধু সিটি স্ক্যানের ক্ষতিকারক দিক দর্শাননি গুলেরিয়া। তাঁর মতে, এখন বহু ক্ষেত্রেই শারীরিক অবস্থা জানতে বায়োমার্কারস ব্যবহার করা হয়। এটা অত্যন্ত প্রতিক্রিয়াশীল। যা মানব দেহে জ্বালা তৈরি করে। কোনও মাইল্ড কোভিড পেশেন্টের রক্ত পরীক্ষা, সিপিসি, এলডিএইচ বা বায়ো মার্কারের প্রয়োজন নেই। এগুলো কেবলই প্যানিক রিয়াকশন তৈরি করে। এক্ষেত্রে রোগীকে বায়োমার্কারের পরিবর্তে আগে সিটি স্ক্যান করানোর পরামর্শ দেন এইমস-এর ডিরেক্টর।


এদিন কোভিডে স্টেরয়েডের ব্যবহার নিয়েও সবাইকে সচেতন করেন রণদীপ গুলেরিয়া। তিনি বলেন, ''মাইল্ড কোভিডে স্টেরয়েড নেওয়া উচিত নয়। হেভি স্টেরয়েডের ব্যবহার ফুসফুসের ক্ষতি করে। সামান্য কোভিডে কিছু সাধারণ ওষুধই কাজে দেয়। বড় কোনও ইনফেকশনের ক্ষেত্রেই স্টেরয়েড নেওয়া যেতে পারে।''