নিউ ইয়র্ক : করোনা অতিমারিতে ওয়ার্ক ফ্রম হোমের শুরু। দীর্ঘদিন এই ব্যবস্থায় অভ্যস্ত হয়ে পড়েছেন কর্মীরা। কিন্তু, এখন কেউ স্থায়ীভাবে এই সুযোগ নিতে চাইলে বেতন কাঠামোয় পরিবর্তন আসবে। এক্ষেত্রে যাঁরা অনেক দূর থেকে যাতায়াত করেন, তাঁরা ভীষণভাবে সমস্য়ায় পড়বেন। একটি সংস্থার পে ক্যালকুলেটরের ভিত্তিতে এই খবর প্রকাশিত হয়েছে রয়টার্সে।


ফেসবুক ও ট্যুইটার সেইসব কর্মীর বেতন কাটে যাঁরা কম খরচাবহুল জায়গায় গিয়ে বসবাস করেন। অ্যালফাবেট ইঙ্কস গুগল কর্মীদের সেই হিসেবের জায়গা দেয় যার মাধ্য়মে তাঁরা দেখতে পাবেন, স্থানান্তরের প্রভাব কী হবে। কিন্তু, দূর থেকে যেসব কর্মী যাতায়াত করেন, তাঁরা বেতন কাটার মতো সমস্যার সম্মুখীন হন। 


গুগলের এক মুখপাত্র বলেন, লোকেশন অনুযায়ী আমাদের ক্ষতিপূরণ প্যাকেজ নির্ধারিত হয়। তাছাড়া একজন কর্মী কোথা থেকে কাজ করছেন, সেখানকার স্থানীয় বাজারের উপর নির্ভর করে সর্বোচ্চ বেতন দেওয়া হয়। শহর ও রাজ্যের উপর ভিত্তি করে বেতন দেওয়া হয়।


রয়টার্স গুগলের ইন্টারনাল স্যালারি ক্যালকুলেটরের স্ক্রিনশটে দেখেছে। সেই অনুযায়ী, নিউ ইয়র্ক শহর থেকে ট্রেনে এক ঘণ্টার দূরত্বে থাকা স্ট্যামফোর্ড, কানেক্টিকাটের একজন কর্মীকে ১৫ শতাংশ কম বেতন দেওয়া হবে। যদি তিনি ওয়ার্ক ফ্রম হোমের সুবিধা চান। কিন্তু, একই অফিসে কাজ করা একজন কর্মী যিনি নিউ ইয়র্ক শহরে বসবাস করছেন, তিনি ওয়ার্ক ফ্রম হোম করতে চাইলে তাঁর বেতন কাটা হবে না। স্ক্রিনশটে শিটিল, বস্টন ও সানফ্রান্সিসকো এলাকার জন্য ৫ ও ১০ শতাংশ করে পার্থক্য দেখা গেছে।


গুগলের কর্মীদের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে জানা গেছে, সান ফ্রান্সিসকো ছেড়ে চলে যাওয়ার পর কেউ যদি লেক তাহোর মতো দামি জায়গায় থাকেন তাহলে তাঁর ২৫ শতাংশ পর্যন্ত বেতন কাটা যেতে পারে। উল্লেখ্য, করোনা অতিমারি পর্ব শুরু হওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন সংস্থা ওয়ার্ক ফ্রম হোম মোডে চলে যায়। এখন কোনও কোনও সংস্থা এই সুযোগ দিচ্ছে।