উত্তর ২৪ পরগনা: এবার সরকারি হাসপাতালের সামনেই বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর অভিযোগ। ঘটনা ব্যারাকপুরের। করোনা রোগীর চিকিৎসা সম্ভব নয় বলে ‘ফেরাল’ হাসপাতাল। হাসপাতালের স্ট্রেচারেই ‘বিনা’ চিকিৎসায় করোনা আক্রান্তের মৃত্যু। বিটি রোডের ধারেই বাবার মৃতদেহ নিয়ে দাঁড়িয়ে পরিবার। ব্যারাকপুরে বিএন বসু হাসপাতালের বিরুদ্ধে প্রত্যাখ্যানের অভিযোগ। ছুটিতে আছি, কিছু বলতে পারব না বলে মন্তব্য সুপারের।


এদিকে আজ দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাতগাছিয়া মৃতদেহ নিয়ে হয়রানির অভিযোগ। পরিবার সূত্র খবর, গতকাল ভোর ৫টায় আর্যপাড়া এলাকায় করোনা আক্রান্ত এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়। দীর্ঘক্ষণ কেউ মৃতদেহ উদ্ধার করেনি বলে অভিযোগ করেছে মৃতার পরিবার। প্রায় ১২ ঘণ্টা পর দেহ সৎকারের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। বজবজের ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতির উদ্যোগেই দেহ নিতে আসা হয়েছে বলে খবর। এরপরে মহেশতলায় শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় বৃদ্ধার। যদিও পুলিশের দাবি, বৃদ্ধার মৃত্যু সংক্রান্ত কোনও তথ্যই মেলেনি। 


একই ছবি খড়্গপুরেও। সেখানে ১০ ঘণ্টা ধরে পড়ে রইল করোনা আক্রান্তের মৃতদেহ। খড়্গপুরের বলরামপুরে ঘটনাটি ঘটেছে। পরিবারের অভিযোগ, এদিন ভোর ৫টা নাগাদ করোনা আক্রান্ত গোবিন্দ মিশ্রের মৃত্যু হয়। ফোন করে প্রশাসনকে বারবার জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি। 


দীর্ঘক্ষণ মৃতদেহ পড়ে থাকলেও কেউ আসেনি বলে দাবি করেছে মৃতের পরিবার। প্রায় ১০ ঘণ্টা বাড়িতেই মৃতদেহ পড়ে থাকার পর দুপুর ৩টে নাগাদ মৃতদেহ নিয়ে যান স্বাস্থ্য দফতরের কর্মীরা। যদিও প্রশাসনের তরফে দীর্ঘক্ষণ দেহ পড়ে থাকার অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে খড়্গপুরের বিডিওর দাবি, খবর পাওয়া মাত্রই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।


এদিকে রাজ্যে বেলাগাম করোনা সংক্রমণ। একদিনে রাজ্যে সংক্রমিত ১৭ হাজার ২০৭ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৭৭ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় শুধু কলকাতাতেই ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনায় মৃতের সংখ্যা ১৬। ভোটের আগে বীরভূমে সংক্রমণে ৪ জনের মৃত্যু।