নয়াদিল্লি: লে-কে লাদাখের পরিবর্তে জম্মু ও কাশ্মীরের অংশ বলে দেখানোয় আপত্তি তুলে ট্যুইটারকে নোটিস কেন্দ্রীয় ইলেকট্রনিক্স ও তথ্য প্রযুক্তিমন্ত্রকের। গত ৯ নভেম্বর মাইক্রো-ব্লগিং প্ল্যাটফর্মের গ্লোবাল ভাইস প্রেসিডেন্টকে নোটিস পাঠিয়ে মন্ত্রক জানিয়েছে, লে-কে জম্মু ও কাশ্মীরের অংশ হিসাবে দেখানো ভারতের সার্বভৌম সংসদের সিদ্ধান্ত, কর্তৃত্বকে চ্যালেঞ্জ করা, খাটো করে দেখানোর ট্যুইটারের দুঃসাহসের প্রমাণ। ভারতের সংসদই লাদাখকে কেন্দ্রশাসিত এলাকা বলে ঘোষণা করেছে, যার সদর দপ্তর লে।
সূত্রের খবর, মন্ত্রক ট্যুইটারকে পাঁচটি কাজের দিনের মধ্যে ব্যাখ্যা দিয়ে জানাতে বলেছে, ভুল মানচিত্র দেখিয়ে ভারতের ভৌগলিক অখন্ডতা, সংহতির অসম্মান করায় কেন ট্যুইটার ও তার প্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করা হবে না। সূত্রের খবর, ট্যুইটারের বিরুদ্ধে নেওয়ার মতো সম্ভাব্য পদক্ষেপগুলির মধ্যে আছে তথ্য ও প্রযুক্তি আইনের ৬৯ এ অনুচ্ছেদের আওতায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা যাতে ট্যুইটার অ্যাকসেস করা যাবে না বা ৬ মাস পর্যন্ত কারাবাস হতে পারে, এমন অপরাধের অভিযোগে ফৌজদারি দণ্ডবিধির আওতায় এফআইআর দায়ের করা। তথ্য ও প্রযুক্তি আইনের ওই অনুচ্ছেদে কম্পিউটার রিসোর্সের মাধ্যমে কোনও তথ্য জনসাধারণের পাওয়ার রাস্তা ব্লক করার জন্য নির্দেশ জারির ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, এর আগে এক লাইভ সম্প্রচারে ট্যুইটারের লোকেশন ট্যাগে লে-কে চিনের অংশ বলে দেখানো হয়েছিল। সঙ্গে সঙ্গে মন্ত্রকের পক্ষ থেকে ট্যুইটার সিইও জ্যাক ডোরসিকে তীব্র আপত্তি জানিয়ে চিঠি দেওয়া হয়। ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষার প্রশ্নে ট্যুইটার ভারতের যৌথ সংসদীয় কমিটির কাছে মৌখিক ক্ষমা প্রার্থনা করে। যদিও আজও তারা লে-কে লাদাখের অংশ বলে দেখাতে সেই মানচিত্রে ভুল সংশোধন করেনি। তারা এখনও লে-কে জম্মু ও কাশ্মীরের অংশ হিসাবেই দেখাচ্ছে, যা ভারত সরকারের ঘোষিত অবস্থানের পরিপন্থী।