বিধায়ক খুনের ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়ে সম্প্রতি রাজ্যপালের কাছেও দরবার করা হয়। তাঁর কাছে সিবিআই তদন্ত দাবি করেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ, রাহুল সিংহ প্রমুখ। এরপর রাজ্যপাল সেই ছবি ট্যুইট করেন।
আর তদন্ত শেষ হওয়ার আগেই রাজ্যপালের ট্যুইটে এই ‘রাজনৈতিক হত্যা’ শব্দবন্ধই অনেকের নজর কাড়ে! বৃহস্পতিবারের সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যপাল এ নিয়ে কিছু বলতে চাননি। তবে তা সত্ত্বেও, তাঁর মুখে সেই ‘পলিটিক্যাল মার্ডার’ শব্দবন্ধটি শোনা যায়। তিনি বলেন, আজ উচ্চশিক্ষা নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক, পলিটিক্যাল মার্ডার নিয়ে কিছু বলব না।
এরপরই রাজ্যপালের দিকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, পলিটিক্যাল মার্ডার আগেই বলে দিলেন। হয় প্রমাণ করুন, নয়তো পদত্যাগ করুন। আমরা তদন্ত করছি, সিআইডি তদন্ত করছে। পাল্টা বিজেপি রাজ্য সভাপতি এখনও খুনই করা হয়েছে বলে দাবি করে চলেছেন।
হেমতাবাদে বিধায়ক খুনের পরই পুলিশ সুপারের তড়িঘড়ি আত্মহত্যার তত্ত্ব সামনে আনার ঘটনা নিয়ে আগেই বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে! আর এই ঘটনার পরই রাজ্যপালও একের পর এক ট্যুইট করতে শুরু করেন। একটি ট্যুইটে তিনি বলেন, হেমতাবাদের বিধায়কের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার নিয়ে পুলিশ দাবি করছে আত্মহত্যা। এটা ধামাচাপা দেওয়ার ইঙ্গিত। ...নিশ্চয়ই কোনও উদ্দেশ্য রয়েছে।
আরেকটি ট্যুইটে রাজ্যপাল বলেন, রাজ্যে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার প্রবণতা কমার কোনও লক্ষণ নেই৷ হেমতাবাদের বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায়ের মৃত্যু বেশ কয়েকটি গুরুতর প্রশ্ন তুলে দিয়েছে৷ তার মধ্যে খুনের অভিযোগও রয়েছে৷ প্রকৃত সত্যি উন্মোচনের জন্য এবং রাজনৈতিক প্রতিহিংসাকে ভোঁতা করতে নিরপেক্ষ তদন্তের প্রয়োজন৷
রাজ্যপালকে জবাব দিতে গিয়ে এদিন কটাক্ষও ছুঁড়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী! বলেন, সারাদিন ওনার প্রশ্ন, রাজনৈতিক খুন হল কেন? বিজেপি নেতাদের বৈঠক করতে দেওয়া হল না কেন? বিজেপিকে এটা করা হল কেন?
সব মিলিয়ে বিধায়ক খুনের ঘটনায় পুলিশ সুপারের আত্মহত্যার তত্ত্ব নিয়ে যেমন প্রশ্ন উঠেছিল, তেমনই রাজ্যপাল কী করে তদন্ত শেষ হওয়ার আগেই ‘রাজনৈতিক খুন’ শব্দবন্ধ ব্যবহার করলেন, তা নিয়েও নানা মহলে উঠে গেল প্রশ্ন।