নয়া দিল্লি : ব্ল্যাক, হোয়াইট, ইয়েলো ছিলই। এবার নতুন সংযোজন গ্রিন ফাঙ্গাস। মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে পাওয়া গেল গ্রিন ফাঙ্গাসের প্রথম আক্রান্তের হদিশ। ৩৪ বছরের ওই যুবক সদ্য করোনামুক্ত হয়েছেন। তার পরেই ছত্রাকঘটিতে রোগে সংক্রমিত হলেন। চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তাঁকে মুম্বইয়ের হিন্দুজা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
গত দেড় মাস ধরে ইন্দোরের অরবিন্দ হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা চলছিল। ইন্দোরের স্বাস্থ্য দফতরের জেলা ডাটা ম্যানেজার অপূর্ব তিওয়ারি জানিয়েছেন, ওঁর ফুসফুসে ৯০ শতাংশ সংক্রমণ হয়ে গিয়েছিল। ডায়াগনসিসের সময় ওঁর ফুসফুসে গ্রিন ফাঙ্গাসের হদিশ পাওযা যায়। যেটা ব্ল্যাক ফাঙ্গাস বা মুকোরমাইকোসিসের থেকে আলাদা। সম্ভবত এটাই দেশের প্রথম গ্রিন ফাঙ্গাসের দৃষ্টান্ত।
শ্রী অরবিন্দ ইন্সটিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস এর চেস্ট ডিজিজ বিভাগের প্রধান রবি দোসি সংবাদ সংস্থা PTI-কে জানান, ওই যুবক সন্দেহ করেছিলেন যে তাঁর ব্ল্যাক ফাঙ্গাস হয়েছে। তাই পরীক্ষা করান। কিন্তু, ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের পরিবর্তে তাঁর সাইনাস, ফুসফুস ও রক্তে গ্রিন ফাঙ্গাসের সংক্রমণ ধরে পড়ে। উনি সুস্থ হয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু, হঠাৎ ওঁর নাক থেকে রক্ত পড়তে শুরু করে, তীব্র জ্বর আসে। তাছাড়া ওজন কমে যাওয়ায় খুব দুর্বল হয়ে পড়েছিলেন। তবে, কোভিড থেকে সুস্থ হয়ে ওঠার পর গ্রিন ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হলে শারীরিক যে অবস্থা হয় তা অন্যদের থেকে আলাদা কি না তা খতিয়ে দেখতে হবে।
গ্রিন ফাঙ্গাসের কারণ কী ?
গ্রিন ফাঙ্গাস বা অ্যাসপারগিল্লোসিস এক ধরনের সংক্রমণ। শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়ার সময় অ্যাসপারগিলাসের ছিদ্র থেকে ঢুকতে পারে অ্যাসপারগিল্লোসিস। আমাদের মধ্যে অধিকাংশই অসুস্থ না হয়ে প্রায় প্রতিদিনই অ্যাসপারগিলাস ছিদ্রে নিশ্বাস নেন। কিন্তু, যাঁদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম বা ফুসফুসের রোগ আছে, তাঁদের এতে সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি বেশি। আমেরিকার সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন থেকে জানানো হয়েছে, অ্যালার্জি, ফুসফুসে বা শরীরের অন্য অঙ্গে সংক্রমণের মতো শারীরিক সমস্যা দেখা দেয় অ্যাপারগিলাস থেকে। যদিও অ্যাসপারগিল্লোসিস একজনের থেকে আর একজনের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে না।