লন্ডন : করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধে কাজে আসতে পারে গ্রিন-টি। গবেষকরা বলছেন, গ্রি-টিয়ের মধ্যে রয়েছে কোভিড-প্রতিরোধী এক যৌগ, যা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিতে পারে ভাইরাসকে। সম্প্রতি এমনই এক নয়া তথ্য পেয়েছেন ভারতীয় গবেষক সুরেশ মোহনকুমার।
উটির জেএসএস কলেজ অফ ফার্মাসিতে থাকাকালীন এই গবেষণা করেন সুরেশ। বর্তমানে সোয়ানসি ইউনিভার্সিটি মেডিক্যাল স্কুলে রয়েছেন তিনি। এ প্রসঙ্গে মোহনকুমার বলেন, ''প্রকৃতি সব সময় উন্নতমানের ওষুধে ভরে রয়েছে। আমাদের কেবল জানতে হবে, এরমধ্যে কোভিড প্রতিরোধী কোন মৌল বা উপাদান রয়েছে। প্রকৃতির এই অবদান সম্পর্কে খোঁজ নিতে আমরা প্রাকৃতিক যৌগ বা উপাদানের লাইব্রেরি বাছাই করি। পরবর্তীকালে আর্টিফিশিয়াল ইনেটেলিজেন্স কম্পিউটার প্রোগ্রামের মাধ্যমে দেখা হয় এদের মধ্যে করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কে সক্ষম।''
তবে তিনি স্বীকার করেছেন, এটা গবেষণার একেবারে প্রাথমিক পর্যায়। এই নিয়ে কোনও ধরনের ক্লিনিক্যাল অ্যাপলিকেশন এখনও হয়নি। সম্প্রতি সুরেশ মোহন কুমারের এই গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে আরএসসি অ্যাডভানসেস নামক জার্নালে। যে যৌগ নিয়ে সবাই আশাবাদী, তার নাম গেলোক্যাটিচিন। সুরেশ জানিয়েছেন, গ্রিন-টিতে এই যৌগ পাওয়া যায়। যা খুবই সহজে সস্তায় যে কেউ পেতে পারেন।
বর্তমানে গ্রিন-টির এই যৌগ নিয়ে আরও পরীক্ষা করতে চাইছেন সুরেশ ও তাঁর দল। ক্লিনিক্যাল পরীক্ষার মাধ্যমে গ্রিন -টি করোনার বিরুদ্ধে কতটা কার্যকরী তা জানতে চাইছেন তাঁরা। কোভিডের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হলে তা কতটা সুরক্ষিত তাও বুঝতে চাইছেন গবেষকরা। এ প্রসঙ্গে সোয়নসি ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক অ্যান্ড্রিউ মরিস বলেন, ''ক্ষতিকর ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রাকৃতিক যৌগ যে কাজে আসতে পারে, এটা একটা দারুণ গবেষণা। আমি মোহনকুমার আমাদের ফার্মাসি টিমে যোগ দেওয়ায় খুবই খুশি। এর মাধ্যমে ইন্টারন্যাশনাল রিসার্চ কোলাবোরেশন বজায় থাকবে।''
দেশের কোভিড পরিস্থিতি বলছে, করোনার গ্রাফ নীচে নামলেও চিন্তা কমেনি স্বাস্থ্য মন্ত্রকের। কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ের পর এবার তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা করছে দেশবাসী। মহামারী বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কমে গেলেও ফের মারাত্মকভাবে ফিরতে পারে করোনা। তৃতীয় ঢেউয়ে কোভিডের মূল নিশানায় থাকবে শিশুরা। একদমই টিকাকরণ না হওয়ার কারণে শিশুদের শরীরে হামলা চালাতে সুবিধা হবে ভাইরাসের। কোভিডের এই আশঙ্কা থেকে মুক্তি দিতে অনবরত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন গবেষকরা। তৈরি হয়েছে ভ্যাকসিন। তবে ভয়াবহ একাধিক ভ্যারিয়েন্ট ভাবাচ্ছে গবেষকদেরও।