প্রয়াগরাজ : হিন্দুধর্মে মহাকুম্ভের গুরুত্ব  অপরিসীম। ২০২৫ এর মহাকুম্ভ ঘিরে প্রয়াগরাজে শুরু হয়ে গিয়েছে প্রস্তুতি। এই ধর্মীয় উৎসবকে ঘিরে লক্ষ লক্ষ মানুষের সমাগম হয় মহাকুম্ভে।   উত্তর প্রদেশের প্রয়াগে প্রস্তুতি চলছে জোরকদমে । গঙ্গা, যমুনা, সরস্বতীর সঙ্গমস্থলে পালিত হয় মহাকুম্ভ। সূর্য মকর রাশিতে থাকাকালীন প্রয়াগরাজে মহাকুম্ভ মেলা অনুষ্ঠিত হয়। কুম্ভস্নান করলে পুণ্যলাভ হয় বলে মানুষের বিশ্বাস। কিন্তু পুণ্যস্নানে পাপ ধুয়ে যায় কি না তা তো বলবে সময়, তবে কুম্ভস্নানে ভয়ঙ্কর রোগ ছড়াতে পারে বলে মনে করছে গ্রিন ট্রাইবুনাল বা জাতীয় পরিবেশ আদালত। 


ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনালের পর্যবেক্ষণ,  প্রয়াগরাজের গঙ্গায় পয়োনিষ্কাশন রোধে কার্যকরী পদক্ষেপ না নেওয়া হলে মহা কুম্ভ মেলায় আসা কোটি কোটি তীর্থযাত্রীর স্বাস্থ্য ভয়ঙ্করভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে। ৪০ দিন চলে মহা কুম্ভ মেলা। আগামী ২০২৫ সালের ১৩ জানুয়ারি থেকে মকর সংক্রান্তি স্নান শুরু হবে।  ২৬ ফেব্রুয়ারি মহাশিবরাত্রি অবধি স্নান চলবে। সম্প্রতি মহাকুম্ভ উৎসব স্থল প্রয়াগরাজের নিকাশি ব্যবস্থা নিয়ে একটি মামলা হয়েছিল জাতীয় পরিবেশ আদালতে। গ্রিন বডি সেই মামলার শুনানিতে আশঙ্কা প্রকাশ করে বলে, দূষিত জলে স্নান করলে পুণ্যার্থীদের একাধিক শারীরিক ব্যাধি হতে পারে। মামলকারী আদালতে জানান,  প্রয়াগরাজের রসুলাবাদ থেকে সঙ্গম পর্যন্ত প্রায় আট কিলোমিটার অঞ্চলের মধ্যে ৫০টি নর্দমার দূষিত জল সরাসরি গঙ্গার সঙ্গে মিশেছে।  সেই সঙ্গে জলে মিশছে দূষিত জিনিসপত্র, আবর্জনা।  এই বছরের সেপ্টেম্বরে, ট্রাইব্যুনাল উত্তরপ্রদেশের মুখ্য সচিবের অধীনে একটি উচ্চ-ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি গঠন করেছিল। ২৩ নভেম্বরের মধ্যে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।


প্রয়াগরাজে ৬ বছর অন্তর কুম্ভমেলা হয়। এবার পূর্ণকুম্ভ। এই কুম্ভের স্নানকে শাহি স্নান বলা হয়। এর আগে ২০১৯ সালে ছিল অর্ধকুম্ভ। তার আগে এই দূষণরোধে উত্তরপ্রদেশ সরকার দ্রুত ব্যহস্থা না নিলে পরিণাম হতে পারে ভয়ঙ্কর।                   


আরও পড়ুন : Bangladesh News: ঢাকায় পাকিস্তানের কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠক খালেদা জিয়ার, ফের কি ভারত-বিরোধী শক্তির আখড়া হয়ে উঠছে বাংলাদেশ ? 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।