নয়া দিল্লি: পাঞ্জাবের (Punjab) পাঠানকোটে (Pathankot) সেনা ক্যাম্পের (Army Camp) গেটে গ্রেনেড বিস্ফোরণ। গতকাল রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ সেনা ক্যাম্পের ত্রিবেণী গেটে গ্রেনেড হামলা হয়। বাইকে চড়ে এসে অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীরা গ্রেনেড ছুড়ে পালিয়ে যায়। এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে হামলাকারীদের সনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। গোটা এলাকায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে। 



কারা গ্রেনেড ফেলে গিয়েছে বা বড়সড় হামলার কোনও ছক ছিল কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জানা গেছে , এই বিস্ফোরণে এখনও পর্যন্ত কোনও হতাহতের খবর না থাকলেও ঘটনাস্থল থেকে বিস্ফোরকের অবশিষ্টাংশ উদ্ধার হয়েছে।                     


প্রসঙ্গত, ৬ অক্টোবর পঞ্জাবের পাঠানকোট জেলার বামিয়াল সেক্টরের জৈতপুর পোস্টের কাছে একটি ড্রোন দেখা যায়। বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (বিএসএফ) জওয়ানরা ড্রোনটিতে গুলি চালায়, মনুষ্যবিহীন এরিয়াল ভেহিকেল (ইউএভি) অদৃশ্য হওয়ার আগে চার থেকে পাঁচ রাউন্ড গুলি চালায়। জুলাই মাসে, জম্মুতে ভারতীয় বিমান বাহিনীর ঘাঁটিতে ড্রোন হামলার এক মাসেরও কম সময়ের মধ্যে পাঠানকোটে নিরাপত্তা কর্মীরা একটি সন্দেহজনক বেলুনও খুঁজে পেয়েছিলেন।                                     


তবে শুধু পাঠানকোটে নয়, সম্প্রতি কাশ্মীরের (Kashmir) শক্কড়গড়েও হদিশ মিলেছিল ড্রোন কন্ট্রোলরুমের। পুলিশ সূত্রে দাবি, পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-র (ISI) মদতে ওই কন্ট্রোলরুম থেকে ড্রোন ওড়াত জঙ্গিরা। গত কয়েকমাসে জম্মু, কাশ্মীর ও পঞ্জাবের আকাশে একাধিকবার উড়ে এসেছে ড্রোন। তা থেকে অস্ত্র ও বিস্ফোরকও ফেলা হয়েছে। গোয়েন্দাসূত্রে দাবি, ভারতে (India) ড্রোন হামলা চালানোর জন্য একটি ড্রোন ব্রিগেড তৈরি করেছে আইএসআই। শক্কড়গড়ের এই কন্ট্রোলরুম ছাড়াও পঞ্জাব সীমান্তে আরও একটি কন্ট্রোলরুম রয়েছে বলে সন্দেহ গোয়েন্দাদের। সূত্রের খবর, ড্রোন ওড়ানোর জন্য জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ দেয় আইএসআই।