আবার বড় ভূমিকম্পের খবর। এবার দেশের পশ্চিমাঞ্চল থেকে। গত সপ্তাহে পরপর দুই দিন কেঁপে উঠেছিল পাকিস্তান। তারপর পরপর দুইদিনি বড় ভূমিকম্প হয় বাংলাদেশে। তার অভিঘাতে কেঁপে ওঠে পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা সহ ভারতের বড় এলাকাও। এবার, সোমবার ভোর রাতে কেঁপে উঠল গুজরাত। 

Continues below advertisement

গুজরাতের রাজধানী গান্ধীনগর কেঁপে ওঠে মাঝরাতে।  আইএসআর রিপোর্ট অনুসারে, সোমবার (২৪ নভেম্বর) ভোর ৩:০৬ মিনিটে সৌরাষ্ট্রে ৩.০ তীব্রতার হালকা ভূমিকম্প হয়। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল তালালা, সৌরাষ্ট্র থেকে ১৫ কিলোমিটার উত্তর-উত্তর-পূর্বে, স্থানাঙ্ক ২১.১৮৮° উত্তর অক্ষাংশ এবং ৭০.৫৪৬° পূর্ব দ্রাঘিমাংশে কম্পন অনুভূত হয়। এখনও পর্যন্ত কোনো ক্ষতি বা হতাহতের খবর নেই। 

সূত্রের খবর, গুজরাতের তালালা এবং আশেপাশের গ্রামগুলিতে, ভূমিকম্পের পরপরই লোকজন ঘর থেকে বেরিয়ে আশে। আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন তাঁরা। বিশেষত বাড়ির বয়স্ক ও শিশুদের নিয়ে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করেন বেশিরভাগ জন। তবে কম্পন থেকে বড় ক্ষতি হয়নি। কিছু ক্ষণ পর ফের আবার ঘরে ফিরে যান তাঁরা।  ভূমিকম্পের তীব্রতা কম ছিল এবং কোনও আফটারশকের খবরও পাওয়া যায়নি। 

Continues below advertisement

 ক্ষয়ক্ষতি ? 

এখনও পর্যন্ত, কোনও ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। কোনও বাড়িতে ফাটল ধরেছে বলেই  খবর পাওয়া যায়নি। তবে, ভারতের এই রাজ্য ভূমিকম্পপ্রবণই। গুজরাতের ভুজে ভয়াবহ ভূমিকম্পের স্মৃতি এখনও মলিন হয়নি। ২০০১ সালে ভুজের ভূমিকম্পের মারা যান হাজার হাজার মানুষ। এখানে তারপর বারে বারে  মৃদু ভূমিকম্প হয়েছে। গত কয়েক বছরে এখানে বেশ কয়েকবার নিম্ন-তীব্রতার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে ৩.0 মাত্রার ভূমিকম্প স্বাভাবিক সীমার মধ্যে পড়ে, সাধারণত উল্লেখযোগ্য ক্ষতি করে না। 

গত শুক্রবারই সকালে  ভূমিকম্প হয় বাংলাদেশে। তার জেরে  তীব্র কম্পন অনুভূত হয় কলকাতা সহ গোটা বাংলায়। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী জানা যায়, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৭। অন্যদিকে কম্পনের উৎসস্থল বাংলাদেশের নরসিংদী এলাকা। কম্পনের জেরে ব্যাপক প্রভাব দেখা যায় বাংলাদেশে। বাংলাদেশের সংবাদপত্র প্রথম আলো সূত্রে খবর, সেখানে ভূমিকম্পের জেরে মৃত্যু হয় বেশ কয়েকজনের। আহতের সংখ্যা ছুঁয়ে যায় হাজার। তার আগের দিনই পাকিস্তানে ভূমিকম্প হয়েছিল। চলতি মাসের শুরুতেই একবার ফের কেঁপে উঠেছিল আফগানিস্তান। গত ৩ নভেম্বর স্থানীয় সময় রাত ১২টা ৫৯-এ হিন্দুকুশ-সংলগ্ন এলাকায় ভূমিকম্প টের পাওয়া যায়। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ৬.৩। তাতে একাধিক মৃত্যুও হয়।