আমদাবাদ: উত্তরপ্রদেশের হাথরসের স্মৃতি এখনও ফিকে হয়নি। সেই আবহে গুজরাতে পদপিষ্ট হওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হল। কোনও ধর্মীয় সভা ঘিরে নয়, বেসরকারি সংস্থার চাকরির ইন্টাররভিউ ঘিরে হুলস্থুল বাধল। স্টিলের রেলিং ভেঙে আছাড় খেলেন অনেকেই। ঠেলাঠেলি, ধাক্কাধাক্কিতে তুলকালাম বাধল। তবে এই ঘটনায় হতাহতের খবর মেলেনি। (Gujarat Job Interview Chaos)


গুজরাতের বাহরুচে এই ঘটনা ঘটেছে। সেখানে একটি বেসরকারি সংস্থায় চাকরির ইন্টারভিউ চলছিল। মোট ১০টি শূন্যপদ ছিল, যার জন্য ভিড় করেছিলেন প্রায় ১৮০০ ছেলেমেয়ে। ঘটনাস্থল থেকে যে ছবি এবং ভিডিও সামনে এসেছে, তাতে অফিসের সিঁড়ি, সামনের অংশে তিলধারণের জায়গায় চোখে পড়েনি। চিৎকার চেঁচামেচি কানে আসে, চোখে পড়ে ধাক্কাধাক্কি। (Bharuch Stampede Like Situation)


একটা সময় দেখা যায়, সিঁড়ির উপরের অংশে স্টিলের রেলিংটি চাপে কার্যত শুয়ে পড়েছে। তার উপরও পা দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকার চেষ্টা করেন অনেকে। কিন্তু ভার সহ্য না করতে পেরে রেলিংটি ভেঙে পড়ে। তাতে নীচে বড়ে যান বেশ কয়েক জন। এর পরও উঠে ফের লাইনে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন তাঁরা, তাতে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। 





আরও পড়ুন: Agniveer Reservation : মোদি সরকারের বড় পদক্ষেপ, সেন্ট্রাল আর্মড পুলিশ ফোর্সে প্রাক্তন অগ্নিবীরদের জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণ


ভিডিওটি সামনে আসতেই রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়ে গিয়েছে। বিজেপি-কে তীব্র আক্রমণ করেছে কংগ্রেস। দেশে বেকারত্ব কোন পর্যায়ে পৌঁছেছে, এই ঘটনাই তার প্রমাণ বলে দাবি করেছে তারা। নরেন্দ্র মোদির গুজরাত মডেলের পিছন আসল পরিস্থিতি কী, তা এই ঘটনাতেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে বলে দাবি করেছে কংগ্রেস। যদিও স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব ওই বেসরকারি সংস্থার ঘাড়েই দায় ঠেলেছে। সঠিক ব্য়বস্থাপনা ছিল না কেন, প্রশ্ন তোলেন তাঁরা। 


বাহরুচের বিজেপি সাংসদ মনসুখ বাসব বলেন, "১০টি শূন্যপদ পূরণ করা বলে স্পষ্ট ভাবে জানানো উচিত ছিল ওই সংস্থার, যোগ্যতার মাপকাঠিও জানানো উচিত ছিল। তা না করে সরাসরি ইন্টারভিউয়ের আয়োজন করে। এই ঘটনার জন্য ওই সংস্থাও দায়ী। আমরা খুবই উদ্বিগ্ন। এই ধরনের ঘটনা যাতে আর না ঘটে, সেই লক্ষ্যে পদক্ষেপ করা হচ্ছে।" যদিও চাকরির জন্য যুবসমাজ কতটা মরিয়া, তা এই ভিডিওতেই স্পষ্ট বলে মন্তব্য করতে শুরু করেছেন নেটিজেনরাও।