নয়া দিল্লি: ইজরায়েল (Israel)-হামাস (Hamas) সংঘর্ষে গাজা (Gaza)-সংলগ্ন এলাকায় মৃত্যুমিছিল। হামাসের বিরুদ্ধে অসংখ্য মানুষকে পণবন্দি করার অভিযোগ উঠল। নেতানিয়াহু সরকারের পাশে থাকার বার্তা ভারতের (India)। শক্তি জোগাতে রণতরি পাঠাল আমেরিকা (United States of America)।


আছড়ে পড়ছে একের পর এক রকেট। বোমা-গুলির কানফাটানো শব্দে কেঁপে উঠছে আকাশ-বাতাস। মুহুর্মুহু মর্টার হানা, কামানের গোলা, সাইরেনের শব্দ ভেদ করে পরপর বিস্ফোরণ। পোড়া গন্ধ আর কুণ্ডলী পাকানো ধোঁয়া! এক বিভীষিকাময় পরিস্থিতি!


বারুদের গন্ধের মধ্যেই বেঁচে থাকার লড়াই। রাশিয়া-ইউক্রেন রেষারেষির মধ্যে এবার ইজরায়েল-হামাসের মুখোমুখি সংঘাতে রক্তগঙ্গা। সময় যত গড়াচ্ছে ততই ঘোরাল হচ্ছে মধ্য প্রাচ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতি। হামাস বাহিনীর লাগাতার হামলায় ক্ষতবিক্ষত ইজরায়েল।


পাল্টা গাজায় শরণার্থী শিবিরে নির্বিচারে বোমা বর্ষণের অভিযোগ উঠল ইজরায়েলের বায়ুসেনার বিরুদ্ধে। দু'পক্ষের সংঘর্ষে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। সূত্রের খবর, প্রায় ১৬০০ মৃত্যু হয়েছে। ইজরায়েল-হামাস সংঘর্ষ ইতিমধ্যেই প্রাণ কেড়েছে দেড় হাজার জনের। শতাধিক মানুষকে যুদ্ধবন্দি করার অভিযোগও উঠেছে হামাসের বিরুদ্ধে।                                                                                                                                                                                     


গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, চারদিনের অচলাবস্থা চলাকালীন ইসরায়েলি হামলায় ১৪৩ শিশু ও ১০৫ নারীসহ ৭০৪ জন নিহত হয়েছে এবং আহত হয়েছে ৪০০০ এরও বেশি। এছাড়া হামাসের হামলায় ইসরায়েলে অন্তত ৯০০ মানুষ নিহত ও ২,৬০০ জন আহত হয়েছে।


আরও পড়ুন, স্কাইডাইভে রেকর্ড ১০৪ বছরের বৃদ্ধার, ১৩ হাজার ফুট থেকে ঝাঁপ!


এদিকে, পাল্টা হামাস জঙ্গি গোষ্ঠীর সমস্ত ডেরা নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।  এই পরিস্থিতিতে ইজরায়েলের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছে ভারত-সহ বিভিন্ন দেশ। নেতানিয়াহু সরকারকে শক্তি যোগাতে রণতরি পাঠাল আমেরিকাও।