নয়াদিল্লি: ২০১৭ সালে দিল্লির আমআদমি পার্টি (আপ) সরকারের চালু করা শিক্ষা স্কিমে মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিবালের ছেলের সঙ্গে পড়াশোনা করেছে ১৬ বছরের বিজয় কুমার, যার বাবা পেশায় দর্জি। দুজনেই আইআইটি প্রবেশিকার দরজা পেরিয়েছে ওই ফ্রি কোচিং প্রকল্পে তালিম নিয়ে। কেজরিবালই এ কথা জানিয়েছেন। এজন্য উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন তিনি। ‘জয় ভীম মুখ্যমন্ত্রী প্রতিভা বিকাশ যোজনা’র প্রথম ব্যাচের ৪৯৫৩ জন পড়ুয়ার একজন বিজয়। প্রথমবারের চেষ্টাতেই জয়েন্ট প্রবেশিকায় উত্তীর্ণ হয়ে আইআইটিতে প্রবেশাধিকার পেয়েছে সে।
তফসিলি জাতিভুক্ত পড়ুয়াদের নিখরচায় নামী, সুপরিচিত কোচিং প্রতিষ্ঠান থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য তৈরি হওয়ার সুযোগ দিতে ওই প্রকল্প চালু হয়।
কেজরিবাল ট্যুইট করেছেন, বিজয় কুমারের বাবা দর্জি, মা গৃহবধূ। দিল্লি সরকারের বিনামূল্যে কোচিংয়ের সুবিধা পেয়ে ও আইআইটিতে প্রবেশাধিকার পাওয়ায় আমি খুব খুশি। এটাই ছিল বাবাসাহেবের (বি আর অম্বেডকর) স্বপ্ন, যা দিল্লি সরকার বাস্তবায়িত করছে। এবছর আমার আর ওনার ছেলে একসঙ্গে আইআইটি পড়তে যাচ্ছে বলে আমি দারুণ খুশি। গরিবের ঘরের ছেলে ভাল মানের পড়াশোনার ব্যবস্থা না থাকায় পিছিয়েই থাকবে, এটাই ছিল চিরাচরিত ব্যাপার। এখন সবার জন্য ভাল শিক্ষা, ট্রেনিংয়ের বন্দোবস্ত করে আমরা ধনী, গরিবের ফারাক দূর করছি। কেজরিবালের ছেলে পুলকিত চলতি বছর সিবিএসই আয়োজিত বারো ক্লাসের পরীক্ষায় ৯৬.৪ শতাংশ নম্বর পেয়েছে। কেজরিবাল নিজেও আইআইটি খড়গপুরে পড়াশোনা করেছেন। দিল্লির সরকার পরিচালিত স্কুলের পরিকাঠামো উন্নত করে ভাল মানের শিক্ষার বন্দোবস্ত করার চেষ্টার জন্য মুখ্যমন্ত্রী কেজরিবাল, তাঁর সহকারী মনীশ শিসোদিয়াকে কৃতিত্ব দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। দেশব্যাপী নো-ডিটেনশন অর্থাতি কাউকেই না আটকানোর পলিসির জন্য তৃতীয় থেকে নবম শ্রেণির যে পড়ুয়ারা ভাল ফল করতে পারেনি, তাদের সাহায্য করতে গত বছর গ্রীষ্মের ছুটির সময় মিশন বুনিয়াদ কর্মসূচিও নিয়েছিল দিল্লি সরকার।