নয়াদিল্লি: হরিয়ানা বিধানসভা ভোটে ত্রিশঙ্কু পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ১০টি আসন জিতে কিং মেকার হওয়ার ব্যাপারে প্রবল আশাবাদী দুষ্যন্ত চৌতালা। তাঁর দল জননায়ক জনতা পার্টির (জেজেপি) নির্বাচনী প্রতীক চাবি। একক বৃহত্তম দল বিজেপি সরকার গঠনের লক্ষ্যে বিতর্কিত গোপাল কান্ডা সহ আট নির্দল বিধায়কের সমর্থন নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে বলে দাবি করলেও দুষ্যন্ত বলছেন, স্থায়ী সরকার গঠনের চাবিকাঠি আছে তাঁর হাতেই। জেজেপি এখনও কাউকে সমর্থনের সিদ্ধান্ত নেয়নি বলে জানিয়ে তিনি বলেছেন, এখনও কারও সঙ্গেই কথা হয়নি আমাদের। স্থিতিশীল সরকারের চাবিকাঠি এখনও জেজেপির হাতেই আছে। তাঁর পরিবারের বিজেপি সংশ্রব নিয়ে প্রশ্ন করা হলে দুষ্যন্ত বলেন, বিজেপি, কংগ্রেস-কেউই আমাদের কাছে অস্পৃশ্য নয়। দলের জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকের পর জেজেপি প্রধান বলেন, দলের কয়েকজন বিধায়ক বিজেপির সঙ্গে রফার পক্ষপাতী হলেও বাকিরা চান কংগ্রেসকে সমর্থন করতে। এই নির্বাচনে যেসব ইস্যুতে আমরা লড়েছি, সেগুলি নিয়ে যদি কেউ আমাদের শরিক হতে চায়, আমাদের প্রাপ্য সম্মান দেয়, আমরা সমর্থন করব তাদের। তিনি বলেন, আমরা আজ হরিয়ানার জনগণের পাশে দৃঢ়ভাবে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। রাজ্যে হরিয়ানভিদের ৭৫ শতাংশ কর্মসংস্থানের ন্যূনতম একক কর্মসূচি হাতে নিয়ে হরিয়ানার অগ্রগতির লক্ষ্যে পদক্ষেপ করতে হবে। পেনশনের টাকা বাড়াতে হবে। নানা সূত্রের খবর, গতকাল ভোটগণনার মধ্যেই কংগ্রেস দুষ্যন্তের সঙ্গে যোগাযোগ করে। কংগ্রেস শেষ পর্যন্ত ৯০টির মধ্যে ৩১টি আসন পায়। কিন্তু সেক্ষেত্রে সরকার গড়তে শুধু জেজেপির সমর্থনই যথেষ্ট নয়, আরও বিধায়ক লাগবে কংগ্রেসের। ৪০টি আসন পাওয়া বিজেপির আরও ৬জন বিধায়ক চাই। তাঁদের অন্যতম গোপাল কান্ডা বিজেপিকে নিঃশর্ত সমর্থন ঘোষণা করে বাকি সব নির্দল বিধায়কও শাসক দলের পাশে থাকছেন বলে জানিয়েছেন। গোপালের সমর্থন নেওয়ায় কংগ্রেস, এমনকী দলীয় নেত্রী উমা ভারতীর সমালোচনাও শুনতে হচ্ছে বিজেপিকে। দুষ্যন্ত আজ তিহার জেলে বাবা অজয় চৌতালার সঙ্গে দেখা করেন। অজয় হরিয়ানার চারবারের মুখ্যমন্ত্রী তথা আইএনএলডি সভাপতি ওপি চৌতালার বড় ছেলে। দুষ্যন্ত আইএনএলডি ভেঙে বেরিয়েছেন চৌতালা পরিবার ও দলেই ভাঙন ধরায়। আইএনএলডি-র হয়ে একমাত্র আসনটি জিতেছেন অভয় চৌতালা।