নয়াদিল্লি: রাহুল গাঁধী ও প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরাকে ‘তাজা পেট্রোল বোমা’ বলে কটাক্ষ করলেন হরিয়ানার মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা অনিল ভিজ।
মঙ্গলবার টুইটারে একটি পোস্টে ভিজ অভিযোগ করেন, যেখানেই রাহুল-প্রিয়ঙ্কা যান, আগুন লাগান। রাহুল ও প্রিয়ঙ্কার থেকে সতর্ক থাকার পরামর্শও দেন ভিজ। টুইট করে ভিজ বলেন, রাহুল গাঁধী ও প্রিয়ঙ্কা গাঁধীর থেকে সতর্ক থাকুন। কারণ, এঁরা হলেন তাজা পেট্রোল বোমা। এঁরা যেখানেই যান, আগুন লাগান। যার জেরে সরকারি সম্পত্তি নষ্ট হয়।
মেরঠে যাওয়ার পথে রাহুল-প্রিয়ঙ্কাকে আটকে দেয় যোগী আদিত্যনাথের নেতৃত্বাধীন বিজেপি-শাসিত রাজ্য উত্তরপ্রদেশের পুলিশ। এরপরই, কংগ্রেসের এই দুই নেতা-নেত্রীর বিরুদ্ধে তোপ দাগেন ভিজ।





প্রসঙ্গত, নাগরিকপঞ্জী ও সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে, সম্প্রতি রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় উত্তরপ্রদেশ। গোটা রাজ্যে মৃত্যু হয় ১৭ জনের। যাঁদের মধ্যে রয়েছেন মেরঠের পাঁচজন। মঙ্গলবার মেরঠে নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যান কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গাঁধী এবং দলের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গাঁধী।
কিন্তু মেরঠ শহরে ঢোকার আগেই যোগী আদিত্যনাথের পুলিশ তাঁদের আটকে দেয় বলে অভিযোগ। রাহুল বলেন, ওদের (পুলিশের) কাছে অর্ডার দেখতে চাই, ওরা দেখাতে পারেনি, বলল ঘরে চলে যান।
যদিও রাহুল ও প্রিয়ঙ্কাকে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উড়িয়ে মেরঠ প্রশাসনের দাবি, তাঁদের শুধুমাত্র জানানো হয়েছিল জেলায় ১৪৪ ধারা জারি আছি। যদি আপনারা নিহতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে চান, তাহলে করতে পারেন। কিন্তু তা শান্তিপূর্ণভাবেই করতে হবে।
দিনের মতো ফিরে এলেও, ঘটনার প্রেক্ষিতে ফেসবুক রাহুল গাঁধী লেখেন, ১৪৪ ধারার অপব্যবহার করে সত্য বাইরে আসতে দিচ্ছে না উত্তরপ্রদেশ সরকার। আমরা আবার নিহতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে আসব।
এদিন দেখা না হলেও নিহতদের পরিবারের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন রাহুল-প্রিয়ঙ্কা। এর আগে রবিবার বিজনৌরে নিহত দু’জনের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেন প্রিয়ঙ্কা।