নয়াদিল্লিধর্ষণ করেই খুন করা হয়েছে হাথরসের দলিত তরুণীকে। ঘটনায় ৪ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করেছে সিবিআই। উল্লেখযোগ্য হল ওই ৪ অভিযুক্তই উচ্চবর্ণের। ঘটনার ৩ মাস পর চার্জশিট গঠন করা হয়েছে।  তফশিলি জাতি-জনজাতি আইনেও ওই চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। 


প্রসঙ্গতগত ১৪ সেপ্টেম্বর উত্তরপ্রদেশের হাথরসে ১৯ বছরের দলিত তরুণী গণধর্ষণের শিকার হন। ১৫ দিনের লড়াই শেষ হয় গত ২৯ সেপ্টেম্বর। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই দিন দিল্লির হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। রাজধানী দিল্লি থেকে ২০০ কিলোমিটার দূরে ওই ঘটনার রেশ এখনও কাটেনি। বছর ১৯-এর দলিত তরুণীর মৃত্যুতে তোলপাড় হয় সারা দেশ। আরেক নির্ভয়ার মৃত্যুতে যোগী সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেয় দেশবাসী।

দলিত তরুণীর মৃত্যুতে বিতর্কে জড়ায় যোগী সরকার। তরুণীর মৃত্যুর পর অভিযোগ ওঠে, পুলিশ মধ্যরাতে পরিবারের অনুমতি না নিয়েই শেষকৃত্য করে দিয়েছে। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করে পুলিশ। পুলিশ জানায়, পরিবারের অনুমতি নিয়েই শেষকৃত্য করা হয়েছে। চাপের মুখে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় উত্তরপ্রদেশ সরকার।

এদিকে সুপ্রিম কোর্ট এলাহাবাদ হাইকোর্টকে তাদের নজরদারিতে সিবিআইয়ের তদন্ত পরিচালনার নির্দেশ দিয়েছিল। তবে প্রথম থেকেই নিজেদের নির্দোষ বলে দাবি করেছে অভিযুক্তরা। এমনকি জেলে বসে এক অভিযুক্ত উত্তরপ্রদেশ পুলিশকে লেখে, তাদের ইচ্ছাকৃতভাবে ফাঁসানো হচ্ছে। তিনি সহ বাকি ৩ জনের জন্য ন্যায়বিচারের দাবি করেছেন তিনি। ওই চিঠিতে তরুণীর মৃত্যুর জন্য তাঁর মা এবং ভাই করেছে দায়ী করেছে সে। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে তরণীর পরিবার। এলাহাবাদ হাইকোর্টের লক্ষ্ণৌ বেঞ্চে এই মামলার পরবর্তী শুনানি ২৭ জানুয়ারি।