কলকাতা: প্রোটিন খাওয়া ওজন কমানোর একটি সহজ উপায়। কারণ প্রোটিন খেলে তা দীর্ঘ সময় পেটে থাকে, খিদে কম পায়। এই ক্ষেত্রে, প্রোটিনের সেরা উৎস হ'ল ডিম।


আজকের দিনে বেশিরভাগ মানুষ রোগা হওয়া বা ফিগার মেনটেন করতে চান। কিন্তু সবচেয়ে বড় কথা হল ডায়েট বা খাদ্যতালিকায় কী ধরনের খাবার রাখলে পুষ্টিও সঠিক মাত্রায় বজায় থাকবে আবার ওজনও কমবে। এমন অনেক খাবার রয়েছে যা আপনার ওজন হ্রাস করতে পারে। তেমনই একটি প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার হল ডিম। প্রোটিন ওজন হ্রাসে সহায়তা করে, কারণ এটি শরীরের শক্তি বজায় রাখে এবং দ্বিতীয়ত এটি পেটে দীর্ঘ সময় থাকে। ফলে খুব শীঘ্র খিদে পায় না। বারবার খাওয়ার প্রয়োজন হয় না। ওজন হ্রাসের ক্ষেত্রে ডিম ব্যবহার করার আগে কিছু ভুল সংশোধন করে নিতে হবে বা কতকগুলি বিষয় মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ।  অন্যথায় ফল বিপরীত হতে পারে। আসুন জেনে নেওয়া যাক সেই ভুলগুলি সম্পর্কে।


অস্বাস্থ্যকর ফ্যাট দিয়ে ডিম তৈরি করা


ওজন কমাতে ডায়েটে ডিম রাখলেন অথচ তা যদি আপনি মাখনের মতো জিনিস দিয়ে ভাজেন তবে এটি আপনার ক্ষতি করতে পারে। এটি কারণ ডিম উচ্চ প্রোটিনযুক্ত। ফলে প্রচুর পরিমাণে চর্বি আপনাকে হৃদরোগ, স্ট্রোক এবং ডায়াবেটিসের মতো রোগ দেখা দিতে পারে। ফলে স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে ডিম ভাজার সময় জলপাই, অ্যাভোকাডো বা ক্যানোলা তেলের মতো কম চর্বিযুক্ত তেল বেছে নিন।


বেশি ডিম খাওয়া


ডিম খাওয়া শরীরের পক্ষে খুব ভাল এবং উপকারী তবে কিছু পরিস্থিতিতে এটি আপনার পক্ষে গুরুপাচ্য হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, আপনি যদি ডায়াবেটিস রোগী হন তবে সপ্তাহে ৩টির বেশি ডিম খাওয়া উচিত নয়। এ ছাড়াও সতর্ক হোন।আপনি সম্পূর্ণ সুস্থ হলেও অত্যধিক ডিম খাবেন না। প্রয়োজনের তুলনায় বেশি  ডিম খাওয়া এড়িয়ে চলুন।


অনেকেই ডিমের সাদা অংশ খান


আপনারা প্রায়শই ডিমের হলুদ অংশটি সরিয়ে কেবল সাদা অংশ খান। কারণ, ভুল ধারণা রয়েছে যে ডিমের হলুদ অংশ স্থূলত্ব বাড়ায়। ডিমের হলুদ অংশ ওজন কমাতে সহায়তা করে কারণ পুরো ডিমের অর্ধেক প্রোটিন এই অংশে পাওয়া যায়।


শুধু প্রাতঃরাশে ডিম নয়


অনেকেই নির্দিষ্ট সময়ে ডিম খেতে পছন্দ করেন, বিশেষত প্রাতঃরাশে। তবে এটি ঠিক নয়। ডিম কেবল প্রাতঃরাশে নয়, দুপুরের খাবার বা রাতের খাবারের সঙ্গেও খেতে পারেন।