বেঙ্গালুরু: কর্ণাটকে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে একের পর এক। মৃতদের বেশির ভাগই মধ্যবয়সী। কেউ কেউ ২০ কোঠায়। এই ঘটনায় রাতারাতি ঘুম উড়েছে কর্ণাটকের মানুষের।  এই পরিস্থিতিতে তীব্র হয়েছে নানা জল্পনা । জনসাধারণের উদ্বেগ বৃদ্ধি পেয়েছে। আতঙ্ক এতটাই গ্রাস করেছে যে, বহু মানুষ, তড়িঘড়ি ছুটছেন হাসপাতালে।  হাজার হাজার মানুষ হৃদরোগের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাচ্ছেন।

হাসপাতালে  আতঙ্কিতদের ভিড় 

এক নজিরবিহীন ছবি ধরা পড়েছে মহীশূরের জনপ্রিয় জয়দেব হাসপাতালে। ইন্ডিয়া টুডে-তে প্রকাশিত ছবিতে দেখা গিয়েছে, হাসপাতালের বহির্বিভাগের রোগীদের লাগামছাড়া ভিড়। কেউ কেউ মাঝ রাত থেকে অপেক্ষা করছেন ডাক্তার দেখানোর জন্য। প্রত্যেকেই নিজেদের হার্টের অবস্থা নিয়ে নিশ্চিত হতে চাইছেন। 

কী বলছেন চিকিৎসকরা              

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সূত্রে খবর,কর্ণাটকের হাসান জেলায় , তরুণদের মধ্যে হঠাৎ হৃদরোগ বৃদ্ধি পেয়েছে। কয়েক ঘণ্টার পর একের পর এক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। হঠাৎ করে হার্ট অ্যাটাকে মৃতের সংখ্যা বৃদ্ধির ফলে মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। মহীশূরের জয়দেব হাসপাতালের মেডিকেল সুপারিনটেনডেন্ট ডাঃ কে এস সদানন্দ জনসাধারণকে আতঙ্কিত না হওয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন সংবাদ মাধ্যমে।  তাঁর ধারণা, সংবাদমাধ্যমে বিভিন্ন প্রতিবেদন দেখে অনেকেই বিভ্রান্ত। মানুষ আতঙ্কিত হয়ে হাসপাতালে ছুটে আসছেন। কিন্তু ডাক্তারবাবুর মতে, জয়দেব হাসপাতালে একবার পরীক্ষা করিয়ে নিলেই সমস্যার সমাধান হবে না। তাঁর পরামর্শ,  নিকটবর্তী যে কোনো হাসপাতালে হৃদরোগ পরীক্ষা করানো হোক। তবে শুধুমাত্র হৃদয়ের স্বাস্থ্য পরীক্ষাই সমাধান নয়। জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনা প্রয়োজন। সুস্বাস্থ্যের প্রতি নজর দিতে হবে। নিয়মিত ব্যায়াম অপরিহার্য। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের আশঙ্কা, যদি এত লোক শুধু অযথা আতঙ্কিত হয়ে ছুটে আসেন, তাহলে যাঁদের সত্যিই গুরুতর সমস্যা আছে, তারা অসুবিধেয় পড়বেন। হাসপাতাল এত জনকে পরিষেবা দিতে পারবে না। 

রিপোর্ট বলছে, গত মাসে ৪০ দিনের মধ্যে এই রাজ্যের হাসানে ২৩ জন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। এরপরই হাসপাতালে হাসপাতালে হার্টের চেক আপের জন্য রোগীদের ভিড় বাড়ছে।  বেঙ্গালুরুর জয়দেব হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা ৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন,ক্রমবর্ধমান উদ্বেগের কারণে হাসান এবং আশেপাশের জেলা থেকে অনেক লোক সতর্কতামূলক পরীক্ষার জন্য আসছেন।