নয়াদিল্লি: টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হিমাচল প্রদেশের মান্ডিত, মৃত্যু হয়েছে একাধিক জনের। নিখোঁজ আরও ২। বৃষ্টির কারণে মান্ডির বেশ কিছু জায়গায় নেমেছে কাদা ধস। ধসে ক্ষতিগ্রস্ত একাধিক গাড়ি। ধস নামায় বন্ধ হয়েছে মান্ডির একাধিক রাস্তা। 

আরও পড়ুন, পড়বে বাজ, ৩০-৪০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া, কাল ১৯ জেলায় তুমুল বর্ষণের আশঙ্কা !

টানা বৃষ্টিতে ভয়াবহ পরিস্থিতি হিমাচল প্রদেশের মান্ডিতে। শেষ অবধি পাওয়া খবরে মৃত্যু হয়েছে তিন জনের। ধসের তলায় পড়ে গিয়েছে প্রায় ২০ টি গাড়ি। প্রায় ২৪টিরও বেশি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। আচমকা বন্যা পরিস্থিতির জেরে এক লহমায় সব কিছু তছনছ। ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে উদ্ধারকার্যের কাজ। উল্লেখ্যে, গতবছরও মেঘভাঙা বৃষ্টি তছনছ হয়ে গিয়েছিল হিমাচলপ্রদেশ। হিমাচলপ্রদেশের মান্ডিতে শুরু হয়েছিল মেঘভাঙা বৃষ্টি। জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছিল একের পর এক গ্রাম। বহু মানুষ কোনও কিছু বোঝার আগেই প্রাণ হারিয়েছিল।

অন্যদিকে, পশ্চিমবঙ্গেও প্রবল বর্ষণের জেরে জলমগ্ন বহু এলাকা।  একের পর এক নিম্নচাপ। লাগাতার বৃষ্টি। বিপর্যস্ত কলকাতা থেকে কালিম্পং।এরই মধ্যে আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, কলকাতায় জুলাই মাসে রেকর্ড করেছে বৃষ্টি। পরিসংখ্যান বলছে, স্বাভাবিকের থেকে ৬৪ শতাংশ বৃষ্টি বেশি হয়েছে কলকাতায়। ৫ বছরে কলকাতায় এত বৃষ্টি হয়নি। দক্ষিণবঙ্গে ১৬ শতাংশ অতিরিক্ত বৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যে বেশি বৃষ্টি হয়েছে বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া জেলায়। স্বাভাবিকের তুলনায় ২৯ শতাংশ কম বৃষ্টিপাত হয়েছে উত্তরবঙ্গে। তার মধ্যেই আগামী ২৪ ঘণ্টায় দুই বঙ্গে ফের ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। বলা হয়েছে, ঘূর্ণাবর্ত, নিম্নচাপ অক্ষরেখা এবং মৌসুমী অক্ষরেখার ত্রিফলা আক্রমণে আগামী ২৪ ঘণ্টায় ভারীয় বৃষ্টি হতে পারে রাজ্যে। দুই ২৪ পরগনা, কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, দুই মেদিনীপুর, দুই বর্ধমান, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া ও ঝাড়গ্রামে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।  

দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়িতেও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। একটানা ভারী বৃষ্টির জেরে বুধবার সকালে কালিম্পঙের তারখোলায় ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে ভয়াবহ ধস নামে। পাহাড়ের ওপর থেকে পাথর গড়িয়ে পড়ায় বন্ধ হয়ে যায় রাস্তা। কালিম্পং-এর সঙ্গে সড়ক পথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন শিলিগুড়ি ও দার্জিলিং-এর। নাগাড়ে বৃষ্টিতে ফুঁসছে তিস্তা। বিপদসীমার ওপর দিয়ে জল বইছে। রবিঝোরা ও ২৯ মাইল এলাকায় ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের ওপর দিয়ে বইছে তিস্তার জল।