নয়াদিল্লি: তীব্র দাবদাহে প্রাণ ওষ্ঠাগত বাংলা-সহ একাধিক রাজ্যের। কিন্তু খানিকটা উপরে গেলেই একেবারে ভিন্ন পরিস্থিতি। এপ্রিলের শেষেও লাগাতার তুষারপাত হয়ে চলেছে হিমাচল প্রদেশে। ভারী তুষারপাতের জেরে শনিবার রাতে হিমাচলের ১০৪টি রাস্তা একেবারে বন্ধ হয়ে যায়। তুষারপাতের দোসর আবার বৃষ্টিপাতও। সেখানে হলুদ সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর। (Himachal Pradesh Snowfall)
ভারী তুষারপাত এবং বৃষ্টির জেরে হিমাচলের বিস্তীর্ণ এলাকা অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। লাহৌল এবং স্পীতি মিলিয়েই প্রায় ৯০টি রাস্তা বন্ধ হলে জানা গিয়েছে। কুলুকে তিনটি রাস্তা হন্ধ হয়ে রয়েছে। চাম্বা এবং কাংরাতেও বন্ধ রাস্তা। রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী জানিয়েছে, ভারী বৃষ্টির জেরে নদীর জলস্তর বেড়ে গিয়েছে। কাংরায় জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে একটি সেতু। চলতি মাসের মধ্যেই সেখানে নতুন সেতু তৈরির কাজ শুরু হবে বলে জানানো হয়েছে। (Himachal Pradesh Rains)
আবহাওয়া দফতর হিমাচলে হলুদ সতর্কতা জারি করেছে। বলা হয়েছে, ২২ এবং ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত বিস্তীর্ণ এলাকায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে হিমাচলে। আগামী বেশ কয়েক দিন আবহাওয়া প্রতিকূল থাকবে এবং তাতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়তে পারে বলে জানানো হয়েছে। আপাতত রাস্তা পরিষ্কারের কাজ শুরু করেছে বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশন, যাতে যান চলাচল স্বাভাবিক করা যায়।
আরও পড়ুন: Electoral Bonds: জিতলে ফেরানো হবে নির্বাচনী বন্ড, ঘোষণা নির্মলার, তীব্র সমালোচনা বিরোধীদের
তুষারপাত এবং বৃষ্টির জেরে মানালী-কৈলাঙ্গ রাজপথের কাছে যে সেলফি পয়েন্ট ছিল, সেখানে ধস নেমেছে। ওই এলাকা দিয়ে যান চলাচল এবং যাতায়াত আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে। এ বছর সবমিলিয়ে অত্যধিক বৃষ্টির পূর্বাভাসও দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত স্বাভাবিক থেকে অত্যধিক বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে তারা
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, এবার বর্ষার আগমন সময়ের আগেই ঘটতে পারে। বৃষ্টির পরিমাণও অন্যান্য বছরের তুলনায় অধিক হবে। ২০২৪ সালে দেশে ১০৬ শতাংশ অর্থাৎ ৮৭ সেন্টিমিটার বৃষ্টি হতে পারে বলে জানানো হয়েছে। বর্ষা এবার দীর্ঘমেয়াদি হতে পারে বলেও পূর্বাভাস এসেছে। তবে বর্ষা আসার আগে এই মুহূর্তে দেশের বিস্তীর্ণ এলাকা দাবদাহে পুড়ছে। সেই আবহেই একেবারে উল্টো পরিবেশ হিমাচল প্রদেশে।